চীনের (China) মধ্যে ভয়ঙ্কর হাহাকার পরিস্থিতি উৎপন্ন হয়েছে, কারণ করোনা (coronavirus) নামের ভাইরাস। প্রায় ৪১ জন মানুষ এই ভাইরাসের দ্বারা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। এই ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যাক্তি প্রথমে হাঁচি, সর্দি কাশির সম্মুখীন হচ্ছে। তবে ভাইরাস প্রথমেই কিডনির উপর আক্রমন করছে। এখনও অবধি ভাইরাসের কোনো প্রতিকার আনা সম্ভব হয়নি।
জাপান, তাইওয়ান, ভিয়েতনাম, মালেশিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া, হং কং এ এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। চীনের সরকারি তথ্য অনুযায়ী এখনও অবধি চীনে ১২৮৭ জন মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত। আসল পরিসংখ্যান আরো বেশি হতে পারে বলে অনেকে মত প্রকাশ করছে। এই ভাইরাসের আতঙ্কের কারনে প্রায় ৪২ মিলিয়ন বা সাড়ে ৪ কোটি মানুষকে নজদারিতে রাখা হয়েছে বলে খবর সামনে আসছে। করোনা ভাইরাস চীন থেকে শুরু করে পুরো বিশ্বে যেভাবে আতঙ্ক ছড়িয়ে দিয়েছে, তা অত্যন্ত ভয়ানক বলে মনে করা হচ্ছে।
ভয়ঙ্করতম বিষয় এই যে, চীনের ১৬ টি শহরকে সম্পূর্ন লকডাউন করে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ ১৬ টি শহরে বিমান, ট্রেন চলাচল একেবারে স্তব্ধ হয়ে পড়েছে। ১৬ টি শহরের অভ্যন্তরীণ অবস্থায় মোটেই ভালো নেই। যোগাযোগ ব্যাবস্থা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ থাকায় মানুষজন প্রায় বন্দির মতো স্থিতির মুখোমুখি হয়েছে।
অবস্থা এতটাই ভয়ানক যে, চীনের চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল কম পড়ছে। মানুষজনের আতঙ্ক পুরো চীনবাসীকে কাঁদিয়ে ফেলেছে। এমন এমারর্জেন্সী পরিস্থিতিতে চীন মাত্র ৬ দিনের মধ্যে একটা বড়ো হাসপাতালে গড়ার সিধান্ত নিয়েছে। মাত্র ৬ দিনের মধ্যে ১০০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল গড়ার সিধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ভারতের প্রতিবেশী দেশ নেপাল ও পাকিস্তান অবধি এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। ভারতে এখনও অবধি এই ভাইরাস প্রবেশ করেনি। তবে খবর ছড়িয়েছে যে, চীনে থাকা এক ভারতীয় এই ভাইরাসে আক্রান্ত। যদিও কোনো ভারতীয় চীনে আক্রান্ত কিনা সেই বিষয়ে আমরা সত্যতা যাচাই করতে সক্ষম হয়নি। পাকিস্তান ও নেপালে ১ জন ১ জন করে ব্যাক্তি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে পড়েছে। চীন থেকে যারা ভারতে ফিরছে তাদেরকে বিমান বন্দরে স্পেশাল চেকিং করা হচ্ছে। যাতে ভাইরাসের দ্বারা পুরো দেশ আক্রান্ত না হয়ে পড়ে। এই ভাইরাসের সবথেকে ভয়াবহ বিষয় এই যে, ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যাক্তি থেকে প্রায় ৩, ৪ জন করে ব্যাক্তি আক্রান্ত হতে পারে।