বাংলা হান্ট ডেস্ক: চিনি (Sugar) হল এমনই একটি জিনিস যেটি দেশের প্রতিটি বাড়িতেই দৈনন্দিন ব্যবহৃত হয়। এমতাবস্থায়, চিনির অত্যধিক ব্যবহারের কারণে বছরে সবসময় এটির বিপুল চাহিদাও লক্ষ্য করা যায়। তবে, এবার চিনির উৎপাদনের প্রসঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সামনে এসেছে।
এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, দেশে চিনির উৎপাদনের পরিমান হ্রাস পেয়েছে। যার ফলে উৎপাদন কমলেও চাহিদা বৃদ্ধির কারণে দাম বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। মূলত, দেশের মধ্যে মহারাষ্ট্রে চিনির উৎপাদন কমেছে।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বিপণন বছরের ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত চিনির উৎপাদনের পরিমান ছয় শতাংশ কমে ৩ কোটি ১১ লক্ষ টনে দাঁড়িয়েছে। এই উৎপাদন হ্রাসের প্রধান কারণ হল মহারাষ্ট্রে উৎপাদন কম হওয়া। মঙ্গলবার ইন্ডিয়ান সুগার মিলস অ্যাসোসিয়েশন (ISMA) এই তথ্য জানিয়েছে। এদিকে, ২০২১-২২-এর বিপণন বছরে এই একই সময়ে চিনির উৎপাদনের পরিমান ছিল ৩ কোটি ২৮.৭ লক্ষ টন।
পাশাপাশি, ইন্ডিয়ান সুগার মিলস অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুসারে, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম চিনি উৎপাদনকারী রাজ্য উত্তরপ্রদেশে চিনির উৎপাদন ১ অক্টোবর ২০২২ থেকে ১৫ এপ্রিল, ২০২৩ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়ে ৯৬.৬ লক্ষ টন হয়েছে। গত বছর এই সময়ে এই পরিমান ছিল ৯৪.৪ লক্ষ টন।
উৎপাদন কমেছে মহারাষ্ট্রে: তবে, এই সময়ের মধ্যে, দেশের শীর্ষস্থানীয় চিনি উৎপাদনকারী রাজ্য মহারাষ্ট্রে উৎপাদন পূর্বের ১ কোটি ২৬.৫ লক্ষ টন থেকে কমে ১.০৫ কোটি টন হয়েছে। পাশাপাশি, কর্ণাটকে উৎপাদন ৫৮ লক্ষ টন থেকে কমে গিয়ে ৫৫.৩ লক্ষ টন হয়েছে। উল্লেখ্য যে, ISMA ২০২২-২৩ বিপণন বছরের জন্য ৩.৪ কোটি টন চিনি উৎপাদনের অনুমান করেছে। ২০২১-২২ বিপণন বছরে চিনি উৎপাদনের পরিমান ছিল ৩.৫৮ কোটি টন।