বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) ফের বড় ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার (Government of West Bengal)। বিরাট নির্দেশ দিয়ে দিলেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। এবার স্যালাইন কাণ্ডে চিকিৎসক পল্লবী বন্দ্যোপাধ্যায়কে রক্ষাকবচ দিল উচ্চ আদালত। কোনও অবস্থাতেই ওই ডাক্তারকে গ্রেফতার করা যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন জাস্টিস ঘোষ (Justice Tirthankar Ghosh)। ফলে স্যালাইন কাণ্ডে ডাক্তারদের বিরুদ্ধে তদন্তে নেমে বড় ধাক্কা খেল রাজ্য।
বড় নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)!
সম্প্রতি মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় উত্তাল হয়ে উঠেছিল রাজ্য। অভিযোগ ওঠে, সংক্রমিত স্যালাইন ব্যবহারের জেরেই ওই প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে এবং আরও কয়েকজন প্রসূতি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এই ঘটনার পর ১২ জন চিকিৎসককে সাসপেন্ড করার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গেই তাঁদের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা দায়ের করা হয়। এই চিকিৎসকদের তালিকায় নাম ছিল সিনিয়র অ্যানাস্থেসিস্ট পল্লবী বন্দ্যোপাধ্যায়েরও।
এরপর স্যালাইন কাণ্ডে সিআইডি তদন্ত বন্ধের দাবি এবং আদালতের রক্ষাকবচ চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হন ওই চিকিৎসক। মঙ্গলবার বিচারপতি ঘোষের এজলাসে ওই মামলার শুনানি ছিল। সেদিনই বড় নির্দেশ দিয়ে দেয় আদালত।
আরও পড়ুনঃ ‘মেয়েকে ফিরিয়ে দিতে পারবেন?’ মদনকে পাল্টা দিলেন আরজি করের নির্যাতিতার বাবা-মা
জানা যাচ্ছে, এদিনের শুনানিতে মামলাকারী চিকিৎসকের আইনজীবী জয়ন্ত নারায়ণ চট্টোপাধ্যায় বলেন, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে প্রসূতি মৃত্যুর কারণ হিসেবে সংক্রমিত স্যালাইনকেই দায়ী করেছে হাসপাতালের তদন্ত রিপোর্ট। তবে সেই স্যালাইন (Saline Incident) নিয়ে তদন্ত না করে, ডাক্তারদের ঘাড়ে দায় চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে।
এরপরেই চিকিৎসক পল্লবী বন্দ্যোপাধ্যায়কে আইনি রক্ষাকবচ দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি ঘোষ। কোনও অবস্থাতেই ওই সিনিয়র অ্যানাস্থেশিস্টকে গ্রেফতার করা যাবে না বলে জানিয়ে দেন তিনি। তবে স্যালাইন কাণ্ডে সিআইডি তদন্ত বন্ধের আবেদন উচ্চ আদালতের সিঙ্গেল বেঞ্চের শোনার এক্তিয়ার রয়েছে কিনা সেই বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন জাস্টিস ঘোষ।
বিচারপতি এই বিষয়ে বলেন, এই বিষয়ক ২টি মামলা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চে বিচারাধীন। তাই সিআইডি তদন্ত খারিজের আবেদনের শুনানি করতে গেলে উচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের অনুমতি লাগবে বলে জানিয়ে দেন তিনি।