বাংলা হান্ট ডেস্ক: ভারতীয় রেলকে (Indian Railways) বলা হয় আমাদের দেশের লাইফ লাইন। প্রতিনিয়ত যাত্রীদের সফর আরও বেশি আরামদায়ক এবং উন্নত করে তুলতে নিত্য নতুন পরিষেবা আনছে রেল কর্তৃপক্ষ। তবে শুধু দেশের রেল ব্যবস্থাই নয়, এবার বাংলার রেল যোগাযোগ ব্যবস্থাকেও আরও উন্নত করে তুলতে এবং পর্যটকদের জন্য ভ্রমণের রাস্তা আরো বেশি সুগম করে তোলার জন্য তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর (Tarakeswar-Bishnupur) লাইন সংযুক্তিকরণের জন্য এক নতুন পদক্ষেপ নিয়েছে পূর্ব রেল (Eastern Railways)।
পূর্ব রেলের এই নতুন পদক্ষেপের মাধ্যমে শুধুমাত্র রেলপথই প্রসারিত হবে না একইসাথে রাজ্যের সংস্কৃতি এবং পর্যটন ব্যবস্থাও আরো প্রসারিত হতে চলেছে। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে তারকেশ্বর বিষ্ণুপুর রেলপথ প্রকল্পের কাজ। তারকেশ্বর বিষ্ণুপুরের রেল প্রকল্পটি এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক সার্বিক উন্নতির ক্ষেত্রে নতুন পথ প্রসারিত করবে।
পূর্ব রেলের এই উদ্যোগ অঞ্চলটিকে পর্যটন এবং অর্থ-সামাজিক উন্নয়নের শিখরে নিয়ে যাওয়ার জন্য তৎপর হয়ে উঠেছে। পূর্ব রেল সূত্রে খবর পোড়ামাটির মন্দিরের জন্য বিখ্যাত বিষ্ণুপুর এবং শিব ক্ষেত্রে তারকেশ্বরকে সংযুক্ত করার উদ্দেশ্যেই এই নতুন রেল প্রকল্প সূচনা করা হচ্ছে। জানা যাচ্ছে এই নতুন সার্কিট রুটের মধ্যবর্তী স্টপেজ হিসেবে থাকবে কামারপুকুর এবং জয়রামবাটি।
আরও পড়ুন: সোনায় সোহাগা! সামনেই টানা তিন দিন ছুটি, কবে মিলবে? দেখুন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ভ্যাকেশন লিস্ট
রেল সূত্রে খবর ইতিমধ্যেই এই তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেল প্রকল্পের কাজ প্রায় ৭০ শতাংশ সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। এই মুহূর্তে দ্রুতগতিতে চলছে বিষ্ণুপুরের বড়গোপীনাথপুর থেকে জয়রামবাটির ৭.১ কিমি পর্যন্ত রেল লাইন ও সেতু নির্মাণের কাজ। এছাড়াও শুরু হয়ে গিয়েছে কামারপুকুর ও জয়রামবাটি স্টেশনের বাকি নির্মাণের কাজও।
অন্যদিকে জয়রামবাটি থেকে কামারপুকুর এই ৫ কিমি পথ জমি অধিগ্রহণে বিলম্বের কারণে বিশেষত ২.৫ কিলোমিটার অংশের কাজের অগ্রগতি থমকে গিয়েছে। তবে, দ্রুত এই সমস্যার সমাধানও হয়ে গিয়েছে। কামারপুকুর থেকে গোঘাট ৯০০মিটার বিস্তৃত ভাবাদিঘি অঞ্চল বাদে ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে এই বিভাগের বেশিরভাগ কাজ । পাশাপাশি জমি সংক্রান্ত সমস্যা দ্রুত সমাধান করারও চেষ্টা করা চলছে। কিন্তু সমস্যা না মেটায় ভাবাদিঘির কাজে এখনই হাত দেওয়া যাচ্ছে না।
এই নতুন রেল প্রকল্প নিয়ে সম্প্রতি পূর্ব রেলওয়ে CPRO কৌশিক মিত্র বলেছেন, ‘কাজ চলছে তড়িঘড়ি । এলাকার মানুষজন যদি আমাদের আরও সহযোগিতা করেন তাহলে খুব ভালো হয় । 2025 সালের মধ্যেই কাজ শেষ হবে বলে আশা করা যায় ।’