বাংলাহান্ট ডেস্ক : ফের একবার বীরভূমে উঠল ধর্ষণের অভিযোগ। অভিযোগ আদিবাসী এক নাবালিকাকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে দুই যুবক ধর্ষণ করেছে। ক্রমাগত রক্তক্ষরণে ওই নাবালিকা অজ্ঞান হয়ে যায়। জানা গেছে যে সময় এই ঘটনা ঘটে তখন ওই পাড়ায় উৎসব চলছিল। এই সময় দুইজন যুবক নাবালিকাকে ধর্ষণ করে।
জানা গেছে নির্যাতিতা বীরভূমের নানুরের থুপসারা গ্রামের বাসিন্দা। এই নির্যাতিতাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে পাশের গ্রামের দুই যুবকের বিরুদ্ধে। ধর্ষণের সময় রক্তক্ষরণ হওয়ার ফলে অজ্ঞান হয়ে যায় নাবালিকা। ব্রাহ্মণখন্ড বাসাপারা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী এই নির্যাতিতা। পরিবার সূত্রে খবর, বান্না উৎসব উপলক্ষে পাড়ায় বুধবার চলছিল গান-নাচের অনুষ্ঠান।
আরোও পড়ুন : এবার নবরূপে নজর কাড়বে মেচেদা স্টেশন! ফার্স্ট লুক প্রকাশ্যে আনল রেল, সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে যাবেন
মূত্রত্যাগ করার উদ্দেশ্যে রাত এগারোটা নাগাদ ওই নাবালিকা রাস্তার ধারে যায়। সেই সময় পাশের গ্রামের দুই যুবক ওই নাবালিকাকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের ফলে জ্ঞান হারায় এই নাবালিকা। জ্ঞান ফিরে আসলে ওই নাবালিকা অন্য গ্রামে তার ঠাকুমার বাড়ি চলে যায়। বিষয়টি ঠাকুমাকে জানালে তিনি গোটা ঘটনা খুলে বলেন নির্যাতিতার বাবা-মাকে।
সেই রাতে একাধিকবার জ্ঞান হারায় এই নির্যাতিতা। বারংবার হতে থাকে রক্তক্ষরণ। তারপর তাকে নিয়ে যাওয়া হয় বোলপুর মহকুমা হসপিটালে। হাসপাতালের চিকিৎসকেরা জানান যে ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। এরপর নানুর থানায় নির্যাতিতার বাবা-মা ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন। জানা গেছে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে ওই নাবালিকাকে রক্ত দিতে হচ্ছে। নির্যাতিতার পরিবার অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছেন।