বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ফের বীরভূম থেকে শতাব্দী রায়কে (Satabdi Roy) টিকিট দিয়েছে তৃণমূল (TMC) শিবির। গত মার্চ মাসে ব্রিগেডের জনগর্জন সভা থেকে নাম ঘোষণার হতেই প্রচারে নেমে পড়েছেন অভিনেত্রী। এবার সেই শতাব্দীর নাম জড়াল বড় বিতর্কে! সম্প্রতি তাঁর এক্স হ্যান্ডেল থেকে বীরভূমের বিজেপি প্রার্থী দেবাশিস ধরকে (Debasish Dhar) নিয়ে একটি পোস্ট করা হয়। অল্প সময়ের মধ্যেই শোরগোল ফেলে দেয় সেটি। যদিও শতাব্দীর দাবি, তিনি ওই পোস্ট করেননি!
গত রবিবার শতাব্দীর এক্স হ্যান্ডেলে (পূর্বে টুইটার) বীরভূমের বিজেপি (Birbhum BJP Candidate) প্রার্থীকে নিয়ে একটি দীর্ঘ পোস্ট করা হয়। দুই খণ্ডে বিভক্ত সেই পোস্টে তৃণমূল নেত্রী লেখেন, ‘২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে কোচবিহার জেলার দায়িত্বে পাঠিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। কোচবিহার জেলার শীতলকুচি কেন্দ্রে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চার গ্রামবাসীর মৃত্যু হয়েছিল। তারপরেই তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল রাজ্য সরকারের তরফে’।
২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে কোচবিহার জেলায় দায়িত্বে পাঠিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। কোচবিহার জেলায় শীতলকুচি কেন্দ্রে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চার গ্রামবাসীর মৃত্যু হয়েছিল। তারপরেই তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল রাজ্য সরকারের তরফে। শীতলকুচি কাণ্ডের পর থেকেই রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা (1/2)
— Satabdi Roy (@SatabdiRoy_) March 31, 2024
এখানেই না থেমে শতাব্দী আরও লেখেন, ‘শীতলকুচি কাণ্ডের পর থেকেই রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ সিআইডির আতস কাঁচের তলায় ছিল এই অফিসার। এই অফিসারের সম্পত্তিগত বিষয়ে তদন্ত শুরু করে সিআইডি দেবাশিস ধরের সম্পত্তির বিভিন্ন নথি সংগ্রহের কাজ শুরু করে। সেখান থেকেই জানা যায়, ২০১৫-১৭ সালের মধ্যে কয়েকশো গুণ সম্পত্তি বৃদ্ধি পেয়েছে ওই অফিসারের’।
আরও পড়ুনঃ তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে ‘বেফাঁস’ জোড়াফুল প্রার্থী রচনা! বললেন, ‘স্বামী স্ত্রীর ঝগড়ার মতো…’
বীরভূমের বিজেপি প্রার্থীকে নিশানা করে তৃণমূল প্রার্থীর (Birbhum TMC Candidate) করা এই পোস্ট নিমেষের মধ্যে শোরগোল ফেলে দেয়। এবার এই বিষয়ে শতাব্দীকে জিজ্ঞেস করা হলে বলেন, তিনি ওই পোস্ট করেননি। এমনকি তিনি এক্স (পূর্বে টুইটার) ব্যবহার করেন না বলেও দাবি করেন।
তৃণমূল প্রার্থীর কথায়, ‘আমি টুইটার ব্যবহার করি না। আমি এই রকম পোস্ট করি না। কে এই পোস্ট করেছে কেন করেছে সেটা দেখতে হবে। আমি পুলিশকে জানিয়েছি’। শতাব্দীর এই মন্তব্যের পর মাথাচাড়া দিয়েছে একগুচ্ছ প্রশ্ন। তাহলে কি নির্বাচনের মুখে হ্যাক হয়ে গিয়েছে জোড়াফুল প্রার্থীর এক্স হ্যান্ডেল? কে বা কারা করল এই বিতর্কিত পোস্ট?