বাংলা হান্ট ডেস্ক: দোকান থেকে বিরিয়ানি(Biriyani) কিনতে গেলে নিশ্চয়ই এর আগে বহুবার বিক্রেতাকে হাঁড়ির মধ্যে হাতা ঠুকে দেখবেন। এই হাতা ঠোকা দেখলে মানুষের মনে বারংবার প্রশ্ন এসেছে কেন এটি করা হয়। এর পিছনে রয়েছে বড় একটি কারণ। যদিও এই কারণ অনেকেই জানে না। চলুন আজ এটা জেনে নেওয়া যাক।
কেন বলুন তো বিরিয়ানি দেওয়ার সময় হাঁড়িতে হাতা ঠুকে আওয়াজ করে বিক্রেতা? (Biriyani)
বিরিয়ানি (Biriyani) খেতে ভালোবাসে না এমন মানুষ খুবই কম রয়েছে। এই বিরিয়ানি ওয়াজেদ আলি শাহ-র হাত ধরে কলকাতায় প্রথম বিরিয়ানি প্রবেশ ঘটে। আর তখন থেকেই ভিনদেশের এই পদটি মানুষের মন প্রাণ জুরে রয়েছে। লম্বা লম্বা চালের ভাত ও তুলতুলে মাংস একটি আলু এ যেন এক স্বর্গ সুখের খাবার।
এছাড়াও জানা যায়, কলকাতায় বিরিয়ানি প্রথম তৈরি হয়েছিল গরিব শ্রমিকদের খাবারের জন্য। তখন আওয়াধের নবাব আসফ-উদ-দৌলার রাজ বড়া ইমামবড়া তৈরীর কাজে চলছে। তখন প্রায় কুড়ি হাজার শ্রমিক সেই কাজ করছিলেন। সেখানে তাদের খাবার খাওয়ানোর জন্য চাল, মাংস ও সব্জি একসঙ্গে যাতে খাওয়ানো যায় পাশাপাশি রান্নায় যাতে আর অন্য কোন ঝামেলা না থাকে তাই এই খাবারের প্রচলন করা হয়।
আরও পড়ুন: বঙ্গে পুজোর উপহার! একসঙ্গে ৩ টি রুটের মেট্রো রুটের পরিষেবা উদ্বোধন, থাকতে পারেন খোদ প্রধানমন্ত্রী
এই রান্নার ফলে সময়, খরচ দুই বাঁচবে। পাশাপাশি শ্রমিকরা পেট ভরে খেতেও পারবেন। এছাড়াও যেহেতু বিরিয়ানি দমে রান্না করা হয়। সেই রান্নার গন্ধ চারিদিকে ভরে যেত। এছাড়াও একদিন এই কাজ পরিদর্শন করতে এসে নবাব আসফ-উদ-দৌলার রাজ এর গন্ধ পান। তিনি তখন এই ব্যাপারে জানতে চান। সেই রেসিপি জেনে তিনি বেজায় খুশি হন। তারপর থেকে ভারতে এই রান্নার প্রচলন শুরু হয়।
তবে এই বিরিয়ানি কেনার সময় একটি জিনিস লক্ষ্য করবেন, বিরিয়ানির হাঁড়ি থেকে তোলার সময় হাঁড়িতে ঠুকে আওয়াজ করে বিক্রেতা। কখনো ভেবে দেখেছেন এরকম কেন করা হয়? জানা যায়, বিরিয়ানি হাড়ি থেকে তোলার সময় হাঁড়িতে হাতা ঠুকে আওয়াজ করার পিছনে রয়েছে বড় কারন। যতবার হাঁড়ি থেকে বিরিয়ানি তোলা হয়, ততবার হাতাতে ঘি ও ভাত লেগে থাকে। তাই এই কারণে বিরিয়ানি তোলার সময় বারবার হাঁড়িতে হাতা ঢুকে আওয়াজ করা হয়। যাতে হাতার মধ্যে লেগে থাকা ভাত আবার হাঁড়িতেই পড়ে যায়। বিরিয়ানি (Biriyani) নষ্ট না হয়।