মোদী সরকার তার দ্বিতীয় টার্মে আসার পর থেকে দেশের জাতীয় স্তরের কাজগুলির উপর দারুনভাবে একশন নিয়েছে। যার দরুন, তিন তালাকের উপর বিল পাস, ধারা ৩৭০ এর অপসারণ, অযোধ্যা বিতর্কে রায় ইত্যাদি কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এখন সরকার নাগরিকত্ব সংশোধন বিলের উপর কাজ শুরু করে দিয়েছে। আপাতত লোকসভায় বিল পাশ করিয়েও নিয়েছে। এবার রাজ্যসভায় বিল পাশ করানোর প্রস্তুতি চলছে।
লোকসভায় বিল পাস হওয়ার সাথে সাথে পুরো দেশ জুড়ে এর পরিপ্রেক্ষিতে নানা মন্তব্য সামনে আসতে শুরু হয়েছে। জানিয়ে দি, নাগরিকত্ব সংশোধন বিলের মূল অর্থ হলো প্রতিবেশী দেশ থেকে আসা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ইত্যদি বর্গের মানুষজন সহজেই ভারতের নাগরিকত্ব পাবে।তবে যাইহোক না কেন বিল নিয়ে বিতর্ক কোনো অংশে কমেনি। বলিউডের গায়ক বিশাল দাদলনি এই ইস্যুতে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন।
বিশাল দাদলনি (Vishal Dadlani) বলেছেন মোদী সরকার দেশের জন্য একটা বিপদজনক বিল নিয়ে আসছে। পেঁয়াজের মুল্য বৃদ্ধি, ধর্ষণ, এনকাউন্টার ইত্যাদি নানা কান্ড করে জনগণকে নাগরিকত্ব সংশোধন বিল থেকে বিভ্রান্ত করছে। দাদলানি বলেছেন জনগণ যাতে নাগরিকত্ব বিল নিয়ে বেশিকিছু টের না পায় তার জন্য সকলকে ধর্ষণ, পেঁয়াজের দাম ও এনকাউন্টার নিয়ে চর্চায় ব্যাস্ত করে দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত জনিয়ে দি, অভিযোগ তুলে সংবাদ মাধ্যমের শিরোনামে থাকার জন্য বিশাল দাদলনি আগে থেকেই কুখ্যাত। বিশাল দাদলনি প্রায়শই অভিযোগ তোলেন যে তার গাওয়া গান অন্যরা কপি করে নিচ্ছে। অবশ্য উনি অনেক গায়কের গান চুরি করেন বলেও অনেকে বহুবার অভিযোগ তুলেছে। আর এখন উনি মোদী সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে নিজেকে রাজনীতির সাথেও জড়াতে শুরু করেছেন। এর আগে বিশাল দাদলানি সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন CJI রঞ্জন গগৈ এর উপর বিতর্কিত মন্তব্য করে সবার নজরে এসেছিলেন।
প্রসঙ্গত, বিলের মধ্যে মুসলিম বর্গ সামিল নেই, যা নিয়েই মাথা ব্যাথা সেকুলার গ্যাং ও তথাকথিত বুদ্ধিজীবীদের। তৃণমূল কংগ্রেস সহ বেশকিছু পার্টি এই বিলের বিরোধিতা করে মুসলিমদের এই বিলের আওতায় আনার কথা তুলেছে। আসলে ভারত ভাগ করে অনেকগুলি মুসলিম দেশ তৈরি হয়েছে। তাই সেই সব মুসলিম দেশ থেকে ধার্মিক বৈষম্যের জন্য নিপীড়িত হয়ে ভারতে আসা মানুষদের নাগরিকত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেহেতু মুসলিম দেশ থেকে ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশকারীদের মুসলিমদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কোনো যুক্তি আসে না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন যদি কংগ্রেস পার্টি দেশকে ধর্মের ভিত্তিতে ভাগ না করতো তাহলে এই বিলের আজ প্রয়োজন পড়তো না।