বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হুগলি ও হাওড়ার বেশ কিছু কেন্দ্র থেকে দফায় দফায় বিক্ষিপ্ত ঘটনার কথা সামনে আসছে। আর এবা খানাকুলের তৃণমূল প্রার্থী নজিবুল করিম এবং ওনার নির্বাচনী এজেন্টকে ভোট দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। তৃণমূলের কর্মীরা অভিযোগ করে জানান যে, আজ সকালে নজিবুল করিমকে ভোট দিতে যাওয়ার সময় রাস্তা আটকে বাধা দেয় বিজেপির কর্মীরা। সেখানে দুই পক্ষের মধ্যে শুরু হয় বচসা। এরপর নজিবুল করিমকে রাস্তায় ফেলে চ্যালাকাঠ দিয়ে পেটানোর অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে।
তৃণমূলের কর্মীরা জানান, বিজেপির কর্মীরা এলাকার মানুষকে ভোট দিতে বাধা দিচ্ছিল। আর সেই কারণে তৃণমূল প্রার্থী নজিবুল করিম সেখানে গিয়ে পৌঁছান। এরপর বিজেপির কর্মীরা তৃণমূল প্রার্থীকে দেখা ঝামেলা শুরু করে দেয়। তৃণমূল অভিযোগ করে বলে যে, তাঁদের বুথ এজেন্টকেও বুথ থেকে বের করে দেয় বিজেপির কর্মীরা। এই ঘটনার প্রতিবাদ করায় তাঁদের উপর লাঠি, বাঁশ নিয়ে চড়াও হয়ে বিজেপির একদল কর্মী। এরপর নজিবুল করিমকে রাস্তায় ফেলে চ্যালাকাঠ দিয়ে মারে বিজেপির কর্মীরা।
তৃণমূলের কর্মীরা অভিযোগ করে জানান যে, বিজেপির কর্মীদের মারে নজিবুল করিমের জামাকাপড় ছিঁড়ে যায়। নজিবুল করিমের শরীরে অনেক আঘাতের চিহ্ন আছে বলে দাবি করেন তৃণমূল কর্মীরা। আরেকদিকে, এই ঘটনায় নিজেদের মত প্রকাশ করে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। তাঁরা জানায়, এলাকায় শান্তিপূর্ণ ভাবেই ভোট হচ্ছিল, এরপর তৃণমূলের লোকেরা এসে অশান্তি বাঁধানোর চেষ্টা করে। তখন তাঁদের বাধা দেওয়া হয়। বিজেপি তৃণমূল প্রার্থীকে পেটানোর অভিযোগ খারিজ করেছে।