বাংলা হান্ট ডেস্ক : সামনেই লোকসভা নির্বাচন। আর তাকে ঘিরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাদের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। একদিকে রয়েছে কংগ্রেসের অধীন INDIA জোট, অন্যদিকে থাকছে বিজেপির নেতৃত্বাধীন NDA জোট। দুই পক্ষেই বিভিন্ন দল যোগ দিয়েছে। শীঘ্রই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) ওড়িশা সফর করবেন লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে। আর তার আগে ওড়িশার BJD এর সাথে বিজেপির জোট নিয়ে নানান গুঞ্জন সামনে আসছে।
IIM Sambalpur এ একটি অনুষ্ঠান চলাকালীন, প্রধানমন্ত্রী মোদী (Narendra Modi) এবং ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়কের (Naveen Patnaik( মধ্যে বেশ সৌহার্দ্য জনক সম্পর্ক দেখা যায়। আর তার ফলেই জোটের জল্পনা কল্পনা আরো বেড়ে যায়। আইআইএম সম্বলপুরের স্থায়ী ক্যাম্পাস উদ্বোধনের পাশাপাশি, প্রধানমন্ত্রী মোদী ওড়িশার জন্য 68,000 কোটি টাকার বিভিন্ন প্রকল্প চালু করেন। অনুষ্ঠানে ওড়িশার মূখ্যমন্ত্রী এবং BJD নেতা নবীন পট্টনায়ককে বন্ধু বলেও অভিহিত করেন।
প্রধানমন্ত্রীর সাথে BJD নেতা নবীন পট্টনায়কের বন্ধুত্ব যে একতরফা নয় তার প্রমাণ আসে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য থেকে। সেখানে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভুয়সী প্রশংসা করেন। বিশেষ করে ভারতের অর্থনৈতিক অগ্রগতির জন্যও প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করেছেন সিএম পট্টনায়ক। তিনি বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভারতের জন্য একটি নতুন দিকনির্দেশনা নির্ধারণ করেছেন এবং আমরা অর্থনৈতিক পরাশক্তি হওয়ার পথে রয়েছি। আমাদের (ওড়িশার) প্রচেষ্টা হল পূর্ব ভারতের উৎপাদন কেন্দ্র হয়ে ওঠা এবং আমি নিশ্চিত যে প্রধানমন্ত্রী এটি অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত সহায়তা প্রদান করবেন।’
আরও পড়ুন : দক্ষ নয়! অভিষেককে ‘Bad Stock’ আখ্যা প্রশান্ত কিশোরের, অস্বস্তিতে তৃণমূল
এদিকে সম্বলপুরে একটি জনসভায়, প্রধানমন্ত্রী মোদি মূখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক বা তার দল বিজেডিকে নিশানা করে কিছু কথা বলেননি। সেখানে সভায় তিনি কেবল কেন্দ্রের কৃতিত্ব এবং কেন্দ্রের পরিকল্পনাগুলি গত দশকে কীভাবে ওড়িশায় সমাজের বিভিন্ন অংশকে উপকৃত করেছে তাই তুলে ধরেন। তবে এই সম্ভাব্য জোট নিয়ে বেশ ক্ষুব্ধ কংগ্রেস।
আরও পড়ুন : ভোটের আগেই চমক! লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে এই বড় সিদ্ধান্ত নিতে পারে পশ্চিমবঙ্গ সরকার, শুনে লাফাবেন
কংগ্রেসের ওড়িশা ইউনিটের ইনচার্জ অজয় কুমার বলেন যে, প্রধানমন্ত্রী মোদী পট্টনায়েক এবং তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী ভি কে পান্ডিয়ানের বিরুদ্ধে একটি শব্দও উচ্চারণ করেননি। তার বক্তব্য, ‘এটি প্রমাণ করে যে বিজেডি এবং বিজেপি উভয় দল একইসাথে রয়েছে’। অজয় কুমার ইঙ্গিত দেন দুই দলের মধ্যে নাকি জোট হয়ে গিয়েছে। তার বক্তব্যে এও উঠে আসে যে, বিজেডি এখন আর অন্য কোনো দল নয়, বরং ‘বিজেপি’ হয়ে গেছে। যদিও কংগ্রেসের এই অভিযোগ খারিজ করে দেন বিজেপির ওড়িশা ইউনিট ইনচার্জ মনমোহন সামল।