‘বনধ সমর্থন করি না’, বিজেপির ধর্মঘটের সকালেই বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ

Published On:

বাংলাহান্ট ডেস্ক : পুরভোটে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে সোমবার ১২ ঘন্টার বাংলা বনধ ডেকেছে বিজেপি। এরই মধ্যে কার্যতই উলটো সুর শোনা গেল প্রাক্তন বঙ্গ বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের গলায়। বিজেপি বনধ সমর্থন করে না, এমনটাই বলতে শোনা গেল তাঁকে।

সোমবার সকালে প্রতিদিনের মতই নিউটাউনে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়েছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সেখানেই তিনি সাংবাদিকদের জানান ওই কথা। দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘বিজেপি নৈতিকভাবে বনধ সমর্থন করে না। কিন্তু পশ্চিমবাংলায় এ ছাড়া প্রতিবাদের আর কোনও উপায় নেই। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই তো বনধের রাজনীতিকে জনপ্রিয় করেছেন বাংলায়।’ তাঁকে আরও বলতে শোনা যায়, ‘বাংলায় গণতন্ত্রের কোনও অস্তিত্ব নেই। পুলিশ প্রশাসন একতরফা কাজ করছে। কোর্টও ওদের ওপর নির্ভর করছে। মানুষ ন্যায়ের জন্য কোথায় যাবে? বিজেপি নৈতিকভাবে বনধের সমর্থন করে না। কিন্তু পশ্চিমবাংলায় এছাড়া কোনও রাস্তা থাকে না। তাই এই রাস্তায় আমাদেরকে হাঁটতেই হচ্ছে।’

ভোট প্রসঙ্গেও তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তিনি। বলেন, ‘তৃণমূল হিংসা ছাড়া নির্বাচন জিততে পারে না। গতকাল ভয়ংকর রূপ নিয়েছিল রাজ্য। বোমা-গুলি-টিয়ার গ্যাস চলেছে, রাস্তা বন্ধ করা হয়েছে, পুলিশ মার খেয়েছে, সাংবাদিক মার খেয়েছে, বিরোধীরা তো মার খেয়েছেই। যত রকম হিংসা হতে পারে তা হয়েছে।’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও একহাত নিয়ে তিনি বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ অবধি ৭৫-৭৬ বার বনধ ডেকেছেন। বনধের রাজনীতিকে উনিই তো জনপ্রিয় করেছেন রাজ্যে।’

সোমবার সকাল থেকেই বনধের সমর্থনে রাস্তায় নেমেছেন বিজেপি কর্মীরা। পথে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে দেখ গেছে খোদ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকেও। এদিন সাত সকালেই শিলিগুড়িতে রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তিনি। রীতিমতো পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতিও হয় তাঁর। সকাল থেকেই একাধিক বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর আসছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। সকালে হুগলী স্টেশনে অবরোধ করা হয় ট্রেনও। বালুরঘাটে সকাল থেকেই চলে বিক্ষোভ, পিকেটিং। বিজেপির ডাকা ধর্মঘটে কার্যতই উত্তেজনা ছড়িয়েছে রাজ্যজুড়ে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা আরও বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।

X