বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election)। এই আবহে নিচুতলার সংগঠনের সাথে কিভাবে যোগাযোগ আরও দৃঢ় করা যায় সেই নিয়ে চিন্তায় রাজ্যের সমস্ত রাজনৈতিক দল। গতকাল শাসক দল তৃণমূল (Trinamool Congress) তরফে ঘোষণা করা হয়েছে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ (Didi’r Suraksha Kavach)। যার মাধ্যমে এক্কেবারে মাটিতে পৌঁছেই মানুষের সমস্যা সমাধান করার উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। অন্যদিকে, সুরক্ষা কবচ ঘোষণা হতেই তড়িঘড়ি ‘গ্রামে চলো’ কর্মসূচী নিয়ে হাজির বিজেপি (BJP) বাহিনী।
জানা যাচ্ছে, এবার গ্রামে-গ্রামে গিয়ে সাধারণ মানুষদের সাথে পংক্তিভোজেও বসবেন গেরুয়া দলের নেতারা। সোমবার ভগবানপুরের অঞ্চল সম্মেলন থেকে দলের এই কর্মসূচির কথা জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। প্রসঙ্গত, এই প্রথম নয়, একুশের বিধানসভা ভোটের আগেও এহেন পন্থা অবলম্বন করেছিল পদ্ম শিবির। তবে ভোট বাক্সে সেই উদ্যোগের কোনোরূপ ফসল লক্ষ্য করা যায়নি।
বঙ্গে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন, দিন কয়েকের অপেক্ষা মাত্র। নতুন বছরে দলীয় কর্মসূচিতে রাজ্যে আসার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ থেকে জে পি নাড্ডা সহ হেভিওয়েট বিজেপি নেতা মন্ত্রীদের। পাখির চোখ ২৩ বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে বছর পরতেই নয়া কর্মসূচী নিয়ে হাজির রাজ্যের বিরোধী শিবির।
সূত্রের খবর, ‘গ্রামে চলো’ কর্মসূচীতে ১০০ বিজেপি নেতারা যাবেন ১০টি করে গ্রামে। ১০০ জন প্রথম সারির বিজেপি নেতার উপর ১০টি করে গ্রাম বা অঞ্চলের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মোট এক হাজার অঞ্চলে কর্মী-সমর্থক ও সাধারণ গ্রামবাসীদের সঙ্গে মিলিত হবেন ওই ১০০জন বিজেপি নেতা। ‘গ্রামে চলো’ কর্মসূচীতে দায়িত্বপ্রাপ্ত ১০০ নেতার তালিকায় থাকবেন দলের সাংসদ, বিধায়ক, বঙ্গ থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্য,দলের রাজ্য সভাপতি, বিরোধী দলনেতা সহ রাজ্যের দায়িত্বপাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতারা ।
তৃণমূলের ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচি গ্রহণ করার পরই কী চাপে পড়ে পাল্টা পরিকল্পনা গ্রহণ বিজেপির? এই প্রশ্নই উঠে আসছে রাজনৈতিক মহল থেকে। অন্যদিকে, গতকাল তৃণমূলের জনসংযোগ কর্মসূচিকে কটাক্ষ করে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “নির্বাচন এলেই এসব করে মানুষকে বোকা বানায় তৃণমূল। পঞ্চায়েত ভোটে এবার মানুষ তৃণমূলকে হারাবে। গতবার পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়নি। এবার মুখে বলছে, শান্তিতে ভোট হবে। দেখা যাক, সত্যিই তাই হয় কিনা।” তবে এই আবহেই ভোট পূর্বে নয়া পরিকল্পনা নিয়ে হাজির খোদ বিজেপি বাহিনী।