বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন (Loksabha Election)। কিছুদিন আগে জাতীয় স্তরে বিজেপির (Bharatiya Janata Party) সাংগঠনিক পদের নয়া তালিকা সামনে এসেছে। আর তার জেরে BJP-র সর্বভারতীয় সহসভাপতির দায়িত্ব থেকে বাদ পড়েছেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তারপর থেকেই দিলীপ ঘোষকে নিয়ে তুঙ্গে চৰ্চা।
আর এসবের মাঝেই ঘরছাড়া হলেন দিলীপ ঘোষ। মুরলিধর সেন লেনে গেরুয়া সাংসদ দিলীপ ঘোষ ও বিজেপি নেতা রাহুল সিনহার (Rahul Sinha) ঘর ভেঙে ফেলা হয়েছে। বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বের সিদ্ধান্তেই এই কাজ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে দলের সিদ্ধান্তে যে ঘোষবাবু একদমই খুশি নন, তা বোঝা গিয়েছে তার কথাতেই।
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, সংস্কারের জন্য দুই বিজেপি নেতার ঘর ভাঙার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ঘোষ ও সিনহাবাবুর ঘর ভেঙে সেখানে আইটি সেলের দফতর গড়া হবে বলে জানা গিয়েছে। আপাতত তাদের কমন রুমে বসতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফের সক্রিয় হচ্ছে ঘূর্ণাবর্ত, ভাসবে গোটা রাজ্য! আজ দক্ষিণবঙ্গের কোথায় কোথায় জারি সতর্কতা?
ঘর ভাঙার প্রসঙ্গে বলেন, “আমার ঘরের এসি মেশিন যখন খুলে নেওয়া হয়েছিল তখন লক্ষ্য করেছিলাম। ঘরটা ভেঙে ফেলা হয়েছে কি না, জানি
না। তবে ঘর থাক বা না থাক কলকাতা ফিরলে নিশ্চয়ই মুরলীধর সেন লেনের পার্টি অফিসে যাব দলের সাধারণ কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে। তবে এসব কিছু করার আগে আমাকে একবার জানানো উচিৎ ছিল।”
আরও পড়ুন: পুজোর আগে ফের ছুটি! অক্টোবরে দুদিন বন্ধ থাকতে পারে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও অফিস? কারণ কী?
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি কেন্দ্রীয় পদ চলে যাওয়ার পরই দিলীপ ঘোষকে নিয়ে নানান জল্পনা শুরু হয়েছে। দলের অন্দর থেকে শোনা যাচ্ছে শীঘ্রই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় রদবদল হতে পারে। আর সেখানে নাম আসতে পারে দিলীপের। যদিও এসবই ভেসে আসা খবর মাত্র। অন্যদিকে ঘর ভাঙার ঘটনায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “সংস্কারের জন্য ভাঙা হচ্ছে, আমার ঘরও ভাঙা হবে।”