১০০ কোটির কর ফাঁকি, কয়েকশ কোটির জালিয়াতি! তৃণমূল ঘনিষ্ঠ ইমতিয়াজের পর্দা ফাঁস করলেন শুভেন্দু

বাংলা হান্ট ডেস্ক : সম্প্রতি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) মন্তব্য ঘিরে আসানসোল শিল্পশহরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। দিনকয়েক আগেই উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে খোলা মঞ্চ থেকে বিরোধী দলনেতা দাবি করেছিলেন যে, ইমতিয়াজ আলির (সৈয়দ ইমতিয়াজ আহমেদ) বাড়ি থেকে ১০০ কোটি টাকারও বেশি নগদ বাজেয়াপ্ত করেছে আয়কর দফতর।

শুভেন্দুর এই দাবির পর থেকেই উত্তাল হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতি। তার এই দাবির প্রেক্ষিতে গত রবিবার তৃনমুল রাজ্য সম্পাদক ভি শিবদাসন সরাসরি আক্রমণ শানিয়ে বলেন, বিরোধী দলনেতার মাথার ঠিক নেই। তারপর অনেকেই ভেবেছিলেন যে, বিষয়টা হয়ত এখানেই থেমে গেল। তবে সেটা যে হবার নয় ফের একবার তা স্পষ্ট করে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী।

এইদিন নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন তিনি। ক্যাপশনে লিখেছেন আগুন ঝরানো অভিযোগ। বিরোধী দলনেতা তার পোস্টে লিখেছেন, ‘আসানসোলের তোলামূল ঘনিষ্ঠ “বেতাজ বাদশা” ইমতিয়াজের কীর্তির নমুনা দেখুন।’ সেই সাথে তার অভিযোগ, এই ইমতিয়াজ আলি নানা ধরণের অবৈধ কাজের সঙ্গে যুক্ত।

আরও পড়ুন : ‘দুর্গাপুজো ও বড়দিন এক নয়, রাজ্যের বাইরে গিয়ে করুন!’, ক্রিস্টমাস নিয়ে বড় মন্তব্য হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির

তৃণমূল ঘনিষ্ঠ ইমতিয়াজ আলীর বিরুদ্ধে শুভেন্দুর অভিযোগ, ১০০ কোটি টাকার কর ফাঁকি ও Money laundering-এ জড়িত তিনি। সেই সাথে হিসাব বহির্ভূত ১০ কোটি টাকার বেশি নগদে লেনদেন। এছাড়াও ইমতিয়াজের বিরুদ্ধে ৩০ কোটি টাকার বেশি মূল্যের স্থাবর সম্পত্তি নগদে কেনার অভিযোগ তুলেছেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী।

আরও পড়ুন : বছর শেষে সুখবর, বড়দিনের আগেই কমছে LPG গ্যাসের দাম! মিলবে এত টাকায়

এখানেই শেষ নয়, শুভেন্দুর অভিযোগ, শেল কোম্পানির (ভুয়ো কোম্পানি) কাছ থেকে ২০ কোটি টাকার বেশি বিনা গ্যারান্টির জাল ঋণ নিয়েছেন ইমতিয়াজ। এবং এই বিষয়টি ইডি দ্বারা PMLA তদন্তের আওতায় পড়া উচিত বলে দাবি তার। এছাড়াও ইমতিয়াজের বিরুদ্ধে জাল চুক্তির মাধ্যমে ১০ কোটি টাকার পেমেন্ট করার অভিযোগ এনেছেন শুভেন্দু। এবং এই সমস্ত অভিযোগের পর তিনি দাবি করেছেন, এই সবটা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দ্বারা তদন্ত করানো উচিত। শুভেন্দুর এই অভিযোগের পর থেকেই গরম হয়ে রয়েছে আসানসোল শিল্পনগরীর আবহাওয়া।

Moumita Mondal
Moumita Mondal

মৌমিতা মণ্ডল, গ্র্যাজুয়েশনের পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। বিগত ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত। প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর