বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কেন্দ্র সরকার দ্বারা গোটা দেশে সিএএ (CAA) কার্যকর করা প্রসঙ্গে মন্তব্য প্রকাশ করার পর প্রায় আড়াই বছরের ওপর সময় কাটতে চলল। তবে এখনো পর্যন্ত তার কার্যকারিতা বাস্তব রূপ নেয়নি। ফলে যত সময় এগোচ্ছে, ততই যেন মানুষের ক্ষোভের মুখে পড়ে চলেছে বিজেপি (BJP)। অতীতেও সিএএ কার্যকর করা প্রসঙ্গে একাধিকবার মন্তব্য প্রকাশ করে বাংলার মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষের মনজয় করার চেষ্টায় ছিল তারা; তবে বর্তমানে এসকল কৌশল ব্যর্থ হওয়ার পথে।
এদিন এই বিলটি নিয়ে ফের একবার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন এক বিজেপি বিধায়ক। এমনকি, সিএএ কার্যকর করা না হলে মোদি এবং অমিত শাহদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারিও দেন তিনি। গতকাল দুপুরে বিজেপি বিধায়ক অসীম সরকার ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট করেন, যা নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা বাংলায়। হরিণঘাটার এই বিজেপি বিধায়ক প্রথম থেকেই সিএএ কার্যকর করা নিয়ে একাধিক মন্তব্য প্রকাশ করেন। এদিনও তাঁর ফেসবুক পোস্টে তিনি প্রথমে রাজ্যের শাসক দল এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে তীব্র কটাক্ষ করেন তবে চমক এখানে নয়, পরবর্তীতে বিজেপির বিরুদ্ধে তাঁর কটাক্ষ সকলকে হতচকিত করে তোলে। এমনকি তাঁর এই বক্তব্যের মাধ্যমে উঠে এসেছে মতুয়া সম্প্রদায়ের ক্ষোভ, যা বর্তমানে চিন্তায় রেখেছে বিজেপিকে।
গতকাল অসীমবাবু লেখেন, “২০২৪ সালের আগে যদি দেশে সিএএ লাগু না করা হয়, তবে আমি সকলকে নিয়ে জীবন-মরণ আন্দোলনে নামবো। আমাদের দেশে উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্ব সুরক্ষার জন্য প্রত্যেককে নাগরিকত্বের অধিকার দিতে হবে। আর তা যদি দেওয়া না হয়, তাহলে এর বিরুদ্ধে পথে নামব। আপনারা সবাই রেডি থাকুন।”
যদিও ২০২৪ লোকসভা ভোটের আগে দেশে উক্ত বিলটি কার্যকর করা হবে বলে খবর মিলছে। কয়েকদিন পূর্বে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “বিজেপি যা বলে, তা করে দেখায়। রাম মন্দির করা আমাদের উদ্দেশ্য ছিল এবং তা আমরা করেছি। সিএএ আমাদের নজরে রয়েছে এবং আমরা তা কার্যকর করবোই।” ফলে বিজেপির এসকল দাবি কি আদৌ সত্যি হবে, নাকি ভোটের আগে মতুয়া এবং অন্যান্য সম্প্রদায়ের মানুষের মনজয় করার জন্য কেবল এগুলি বলা হয়ে চলেছে, তা যথেষ্ট সংশয়ের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
‘বিজেপির মেদ হয়েছে…’ বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দুকে নিয়েও বড় মন্তব্য প্রবীণ নেতার