বাংলাহান্ট ডেস্ক: দীর্ঘদিন ধরে বিজেপির (Bjp) উত্তরীয় পরেই রাজনৈতিক ময়দানে থেকেছেন বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo)। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পদ হারানোর পর পদ্ম শিবিরকে বিদায় জানান তিনি। আপন করে নেন তৃণমূলকে। তিনি এখন বালিগঞ্জের বিধায়ক। তৃণমূলের টিকিটে জেতার পর বৃহস্পতিবার প্রথম বিধানসভায় বক্তৃতা দিলেন বাবুল। আর তাঁর প্রথম দিনটা স্মরণীয় করে রাখলেন বিজেপি বিধায়করা।
সঙ্গীতশিল্পী তথা বিধায়ক বক্তৃতা দিতে উঠলেই ‘জয় শ্রী রাম’ ধ্বনিতে গমগম করে ওঠে বিধানসভার কক্ষ। পালটা বাবুল বলেন, “আপনারা এখনো মনে রেখেছেন। এর জন্য ধন্যবাদ।” এখানেই অবশ্য খোঁচা থামায়নি বিজেপি শিবির।
বক্তৃতা শেষ হতে বাবুলের কাছে গান ধরার অনুরোধ জানান তৃণমূল বিধায়করা। সঙ্গে সঙ্গে বিজেপি বিধায়কদের দিক থেকে উড়ে আসে কটাক্ষ। বাবুলের গাওয়া ‘এই তৃণমূল আর না’ গানটিই আবারো গাওয়ার অনুরোধ জানান পদ্ম শিবিরের রসিক বিধায়করা। দলে ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষও। তিনিও বলেন, এই তৃণমূল আর না গানটা নাকি বেশ ভালোই শোনান বাবুলের গলায়।
তবে কটাক্ষে পাত্তা দেননি তৃণমূল বিধায়ক। ধীরেসুস্থে নিজের বক্তব্য রাখার পর স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুরোধে গান ধরেন বাবুল সুপ্রিয়। তিনি বলে ওঠেন, এত ভাল বিল এসেছে যে তাঁর মনটাও চাই চাই করছে। এই বলে ‘আমার মন বলে চাই চাই, চাই গো’ গানটি গেয়ে ওঠেন বাবুল সুপ্রিয়।
উল্লেখ্য, এদিন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের অবসর গ্রহণের বয়স ৬৫ থেকে বাড়িয়ে ৭০ বছর করা নিয়ে বিল পাশ হয়েছে বিধানসভায়। সেই বিষয়েই এদিন নিজের প্রথম বক্তব্য রাখেন বালিগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক বাবুল সুপ্রিয়।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ সাত বছর বিজেপিতে থেকে রাতারাতি দল বদল করে তৃণমূলে চলে আসেন বাবুল সুপ্রিয়। গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে সবুজ শিবিরে যোগ দেন তিনি। এ নিয়ে কম সমালোচনার মুখে পড়তে হয়নি বাবুলকে। চলতি বছর এপ্রিলে তৃণমূলের টিকিটে ভোটে জিতে বিধায়ক হয়েছেন তিনি।