বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি মোদী সরকারের (Central Government)। পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পরেই তাই অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে ৯টি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ভারতীয় সেনা (Indian Army)। পাক মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সমগ্র বিশ্বে কুটনৈতিক বার্তা পৌঁছে দিতে উদ্যোগী কেন্দ্রীয় সরকার। যার জন্য ৭টি প্রতিনিধিদল তৈরি করা হয়েছে। সেগুলির নেতৃত্ব দেবেন কারা? শনিবার কেন্দ্রের সংসদ বিষয়ক মন্ত্রক সেকথা জানিয়েছে। এরপরেই জানা যাচ্ছে, বড় দায়িত্ব পেতে পারেন বঙ্গ বিজেপির হেভিওয়েট নেতা তথা রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য (Samik Bhattacharya)।
শমীককে (Samik Bhattacharya) কী দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে?
এদিন কেন্দ্রের সংসদ বিষয়ক মন্ত্রকের তরফ থেকে ৭টি সর্বদলীয় প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে কারা থাকবেন সেকথা জানানো হয়েছে। একটি দলের নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্ব পেয়েছেন কংগ্রেস নেতা শশী থারুর। বিজেপির রবিশঙ্কর প্রসাদ, ডিএমকের কানিমোঝি করুণানিধি, জেডিইউয়ের সঞ্জয় কুমার ঝা, এনসিপির সুপ্রিয়া সুলে, বিজেপির বৈজয়ন্ত পাণ্ডা ও শিবসেনার শ্রীকান্ত শিন্দেরা বাকি দলগুলির মাথায় থাকবেন।
রিপোর্ট বলছে, এই ৭টি দলে নানান দল মিলিয়ে মোট ৪০ জন সাংসদ থাকবেন। কোন কোন সদস্য এই দলগুলিতে স্থান পাবেন সেটা এখনও ঘোষণা করেনি মোদী সরকার। তবে সম্ভাব্য বেশ কিছু নাম উঠে এসেছে। বিজেপির (BJP) রাজ্যসভার সাংসদ শমীককেও এই দলে রাখা হতে পারে বলে খবর।
আরও পড়ুনঃ ধর্ষণ-খুনের পর ৯ মাস পার! আরজি কর কাণ্ডে এবার বড় নির্দেশ দিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন বলছে, এই দলগুলিতে থাকতে পারেন বিজেপি নেতা অনুরাগ ঠাকুর, নিশিকান্ত দুবে, শমীক ভট্টাচার্য, এমজে আকবর, এস এস আহলুয়ালিয়া, দগ্গুবতী পুরন্দেশ্বরী প্রমুখরা। সেই সঙ্গেই আপ নেতা বিক্রমজিৎ সাহানে, তেলেগু দেশম পার্টির কৃষ্ণা দেবরায়ালু লাভু, শিবসেনার (ইউবিটি) প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী সহ একাধিক হেভিওয়েট নেতা-নেত্রী এই ৭টি দলে স্থান করে নিতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।
জানা যাচ্ছে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে মোদী সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির বার্তা বিশ্ব দরবারে তুলে ধরবে এই ৭টি দল। ইতিমধ্যেই দলগুলির নেতৃত্বে কারা থাকবে সেটা জানানো হয়েছে। বাকি সদস্যদের নাম এখনও ঘোষণা করা হয়নি। শোনা যাচ্ছে, বঙ্গ বিজেপির হেভিওয়েট নেতা শমীক ভট্টাচার্য (Samik Bhattacharya) স্থান পেতে পারেন এই দলে। শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রের তরফ থেকে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সেটাই দেখার।