মধ্যপ্রদেশের পর নেক্সট টার্গেট মহারাষ্ট্র আর রাজস্থান! স্পষ্ট ইঙ্গিত বিজেপির! চাপে কংগ্রেস

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিগত কয়েকদিন ধরে মধ্যপ্রদেশে (Madhya Pradesh) রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস সরকার গঠনের পর থেকেই কংগ্রেসের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছিল। জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে (Jyotiraditya Scindia) মুখ্যমন্ত্রী করার দাবিতে রাজস্থানে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার সমর্থকেরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছিল। এরপর থেকেই কমলনাথ (Kamal Nath) আর জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার মধ্যে ঠাণ্ডা যুদ্ধ চলেই যাচ্ছিল।

কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা অপসারণের পর কংগ্রেস নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া মোদী সরকারের (Modi Sarkar) প্রশংসা করে কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে দেওয়াকে সমর্থন করেছিলেন। এছাড়াও জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া কমলনাথের সমালোচনা করে বলেছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের কৃষকদের ঋণ মুকুব করার প্রতিশ্রুতি দিয়েও ঋণ মুকুব করেন নি।

দেশে সিএএ লাগু করার পর কংগ্রেস নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া সিএএ এর সমর্থনে মুখ খুলেছিলেন। এরকম বিবাদ চলতে চলতে অবশেষে দল থেকে পদত্যাগ করেই ফেললেন জ্যতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। তবে শুধু তিনিই নন, ওনার অনুগামি আরও ১৭ জন বিধায়ককে নিয়ে মধ্যপ্রদেশের সরকারকে পাল্টে দিতে চলেছেন তিনি।

মধ্যপ্রদেশে অপারেশন লোটাস সফল হলেই বিজেপির (BJP) পরবর্তী লক্ষ্য মহারাষ্ট্র আর রাজস্থানে সরকার গড়ার হতে পারে। কারণ দুই দিন আগেই মহারাষ্ট্র বিজেপির নেতা স্পষ্ট বলে দিয়েছেন যে, বিজেপি শিবসেনাকে সমর্থন দিতে রাজি আছে। উনি এই কথা বলেছিলেন কারণ, রাজ্যে মুসলিমদের ৫ শতাংশ সংরক্ষণ নিয়ে কংগ্রেস আর শিবসেনার মধ্যে বাগবিতণ্ডা সামনে এসেছে। আরেকদিকে কংগ্রেসকে তোয়াক্কা না করে শিবসেনা রাজ্যে সিএএ, এনপিআর কে সমর্থন করেছে।

আরেকদিকে রাজস্থানেও কংগ্রেস সরকার এখন সঙ্কটে। নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ পাওয়ার পরেই বিজেপি বলেছিল এই সরকার বেশিদিন টিকবে না। আর তাঁরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করে রাজ্যে আবারও ক্ষমতায় আসবে। যদিও এখনো রাজস্থান আর মহারাষ্ট্রকে হাতে রেখে বিজেপির প্রধান লক্ষ্য হল মধ্যপ্রদেশে সরকার গঠন করা।


Koushik Dutta

সম্পর্কিত খবর