বাংলা হান্ট ডেস্ক: জিয়াগঞ্জের ঘটনাকে সামনে রেখে এবার খাস দিল্লিতে দরবার করবে বিজেপি। গোটা ঘটনা জানানো হবে রাষ্ট্রপতির কাছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলবে তারা। অন্যদিকে আগামীকাল জিয়াগঞ্জ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে রাস্তায় নামছে রাজ্য বিজেপি। একাধিক বিক্ষোভ কর্মসূচি রয়েছে এদিন।
প্রতিনিয়ত এক এক করে বিজেপি কর্মীর মৃত্যুতে অভিযোগের তীর গিয়েছে রাজ্য প্রশাসনের দিকেই। তাই বর্তমানে এই সমস্যার সুরাহা করতে ঘটনায় কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপ চাইছে বিজেপি। আগামীকাল এই ঘটনাতেই প্রতিবাদ মিছিল করে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে পৌঁছবে বিজেপি। সেখানে করা হবে প্রতিবাদ সভা। শুধু তাই নয় এরপর তারা রাজ্যপালের কাছে যাবেন বলেও জানা গেছে। এসব কিছু থেকে বোঝাই যাচ্ছে যে বর্তমানে গেরুয়া শিবির জিয়াগঞ্জের এই ঘটনাকে রীতিমতন রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট গড়ে তুলতে চাইছে। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও কিনারা না মেলায় রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধেই সরব হয়েছে তারা।
উল্লেখ্য, জিয়াগঞ্জে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর কেন্দ্রের কাছে পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির দাবি জানাল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করে ভিএইচপি-র আন্তর্জাতিক কার্যকরী সভাপতি আলোক কুমার বলেন, ”পশ্চিমবঙ্গে আইনের শাসন নেই। বিরোধীশূন্য করতে তাণ্ডব, লুঠ, ধর্ষণ ও হত্যালীলা চালানো হচ্ছে।”
রাজ্যে গত কয়েক বছর ধরে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি করে আসছে গেরুয়া শিবির। সেই দিকে ইঙ্গিত করে আলোক কুমার বলেন,”পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির ব্যাপারে কেন ভাবছে না কেন্দ্রীয় সরকার! ভারতের সংবিধান বাঁচাকে বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন জারির সময় এসে গিয়েছে।” কেরলের থেকেও বাংলার পরিস্থিতি খারাপ বলে উদ্বেগপ্রকাশ করেছেন অলোক কুমার। তাঁর কথায়, ”কেরলকে ছাড়িয়ে গিয়েছে বাংলা। বিশ্ববিদ্যালয়ে হেনস্থা করা হচ্ছে কেন্দ্রীয়মন্ত্রীকে। আগামী নির্বাচনে মানুষ তৃণমূলকে জবাব দেবে।”
জিয়াগঞ্জ হত্যাকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের দাবি করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বৃহস্পতিবার বেলডাঙায় তিনি বলেন,”কার উপরে ভরসা করবে মানুষ? আইনশৃঙ্খলা বলে আর কিছু নেই। থাকলে তো উন্নতি অবনতি হয়!সিবিআই তদন্ত হওয়া উচিত।” ঘটনায় প্রশাসনের ভূমিকায় ক্ষোভপ্রকাশ করে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্ত চেয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।
তৃণমূলের দাবি, পারিবারিক বিবাদের জেরে খুনকে রাজনৈতিক রং লাগিয়ে অশান্তি ছড়াতে চাইছে বিজেপি ও আরএসএস। দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন,”উত্তরপ্রদেশে যে অরাজকতা চলছে, তা থেকে নজর ঘোরাতেই রাজ্যপালের এই মন্তব্য। মুর্শিদাবাদের ঘটনাটি একটি পারিবারিক ঘটনা। তা নিয়ে এত অপপ্রচার কেন? বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে ধামাচাপা দিতেই রাজ্যপালকে আসরে নামানো হয়েছে।”