বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শুক্রবার থেকেই বাংলার বিধানসভায় শুরু হল নতুন অধিবেশন। মোট ৭৪ জন বিধায়ককে নিয়ে বিধানসভায় সরকারের বিরুদ্ধে দাঁড়াবে বিজেপি। যদিও, প্রথম দিনে সব বিধায়ক উপস্থিত ছিলেন না। বিজেপির তরফ থেকে প্রথম দিনে ৭০ জন বিধায়কই বিধানসভায় হাজিরা দিয়েছেন। আর সেই বিধায়কদের মধ্যে প্রায় সকলেই একই ধরণের পোশাক পরে নতুন কিছুর ইঙ্গিত দিলেন।
সাদা পাজামা, পাঞ্জাবির সঙ্গে গলায় গেরুয়া উত্তরীয় পরে বিজেপির নবনির্বাচিত বিধায়করা বিধানসভায় যোগ দেন। পাশাপাশি তাঁদের সবার কপালে ছিল গেরুয়া তিলক। বিজেপির মহিলা বিধায়করাও কপালে গেরুয়া তিলক লাগিয়ে প্রথমবার বিধানসভায় হাজির হন।
রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলের সমস্ত বিধায়ক একদিকে যেমন একই ধরণের পোশাক পরে সাবাইকে তাক লাগিয়েছেন, তেমনই তাঁরা এক হয়ে এটাও বুঝিয়ে দিয়েছেন যে তৃণমূলকে সহজেই ছেড়ে দেবেনা তাঁরা। স্বভাবতই এমন ড্রেসকোড দেখে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। তিনি জবাবে বলেন, ‘গেরুয়া রঙ সনাতন ভারত এবং স্বামী বিবেকানন্দের প্রতীক।”
বিজেপির সুত্র অনুযায়ী, শুধু প্রথম দিনের জন্য বিধায়করা এই ড্রেস পরে যাননি। আগামী দিনগুলোতেও তাঁরা একই পোশাক পরে বিধানসভায় যাবেন। নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী নাকি এমনই নির্দেশ জারি করেছেন। উল্লেখ্য, বাংলার রাজনৈতিক ইতিহাসে এই প্রথমবার বিজেপি এত বিধায়ক নিয়ে বিধানসভায় হাজির হয়েছে। আর রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলের তকমাও পেয়েছে তাঁরা। সেই কারণে তৃণমূলকে প্রতিহত করার সুযোগ তাঁরা কোনও মতেই ছাড়তে চাননা।
বিধানসভার অধিবেশনের প্রথম দিনেই ওয়েলে নেমে তুমুল হাঙ্গামা করেন বিজেপির বিধায়করা। আর সেই হাঙ্গামার কারণে রাজ্যপাল নিজের ভাষণ না দিয়েই কক্ষ থেকে বেরিয়ে যান। বিজেপির অভিযোগ, রাজ্যপালকে দিয়ে মিথ্যা ভাষণ পড়াচ্ছে সরকার। আমাদের প্রধান ইস্যু ‘ভোট পরবর্তী হিংসা” নিয়ে সেই ভাষণে কিছুই বলা হয়নি। যেখানে বিরোধীদের গুরুত্ব দেওয়া হয়না, সেই ভাষণ মূল্যহীন।
গতকাল বিধানসভায় বিজেপি হাঙ্গামা করে রাজ্যপালের ভাষণ থামিয়ে নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করতে চেয়েছে। আর তাঁরা সেই কাজে সফলও হয়েছে। আগামী দিনে বিধানসভায় গেরিলা আক্রমণ করে শাসক দলকে চাপে রাখতে চায় বিজেপি। এখন দেখার বিষয়, তাঁরা কতটা সফল হয় এই রণনীতিতে।