বাংলাহান্ট ডেস্ক: তৃণমূলের শহিদ দিবসের আগে আগে বড় চমক রাজনৈতিক মহলে। সবুজ শিবিরের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) সঙ্গে দেখা করলেন বিজেপি সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায় (Rupa Ganguly)। বেশ কিছুক্ষণ নাকি কথাবার্তাও বলেছেন।হঠাৎ দুই বিরোধী দলের দুই হেভিওয়েট সদস্যের মোলাকাত কি নেহাতই সৌজন্যমূলক নাকি কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে নেপথ্যে?
দলের সঙ্গে রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের সম্পর্কটা যে এখন বিশেষ সুবিধার নয় তার ইঙ্গিত বারংবার পাওয়া গিয়েছে। এমতাবস্থায় এই সাক্ষাৎ প্রশ্ন তুলে দিয়েছে রূপার দলবদলের সম্ভাবনার ব্যাপারে। যদিও এ গুঞ্জন সমূলে নস্যাৎ করে দিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক।
সংবাদ মাধ্যমকে কুণাল ঘোষ বলেন, একটি অনুষ্ঠানে দেখা হয়েছিল রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে। বিজেপি নেত্রীকে নিজের দিদির মতো বলে কুণাল ঘোষ জানান, তাঁদের মধ্যে শুধু সৌজন্যমূলক কথাবার্তাই হয়েছে। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনো যোগ নেই। আর বিষয়টার সঙ্গে রাজনীতিকে না জড়াতেও অনুরোধ করেছেন কুণাল ঘোষ।
অন্যদিকে রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের মুখে শোনা গিয়েছে কুণাল ঘোষের প্রশংসা। রাজ্যের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তিনি প্রশ্ন করেছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদককে। উত্তরও পেয়েছেন। তবে এর সঙ্গে রাজনীতির কোনো যোগসূত্র আছে বলে তিনিও স্বীকার করেননি।
বেশ কিছুদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেছিলেন রূপা। সেখানে তিনি লিখেছিলেন, ‘রাজনীতিতে না আসলে জানাই হত না, যে কত অযথা সময় নষ্ট করে মানুষ’। আচমকা এমন উপলব্ধির কারণ কী? সে সময়ে অনেকে সন্দেহ করেছিলেন, সম্ভবত এবার রাজনীতি ছেড়ে দিতে চলেছেন রূপা।
অনেকে আবার দাবি করেছিলেন, বিজেপি নেত্রী দলের অন্তর্দ্বন্দ্বের জন্যই সরব হয়েছেন। যদিও সবার ধারণা ভুল প্রমাণ করে রূপা গঙ্গোপাধ্যায় জানান, এসব কিছুই তিনি করছেন না। নিজের পোস্টেই অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়।
নিজের পোস্টে স্পষ্ট সুরে রূপা গঙ্গোপাধ্যায় লিখেছিলেন, অনেকেই তাঁকে প্রশ্ন করেছেন যে রাজনীতিতে এলেন কেন তিনি। কেউ আসে কিছু করতে আর কেউ কেউ আসে কিছু হতে। তিনি স্বেচ্ছায় এসেছিলেন রাজনীতিতে কিছু করতে। আর তিনি গর্বিত যে তিনি বিজেপির একজন কার্যকর্তা হতে পেরে গর্বিত।