গাইঘাটায় মুখে কাপড় গুঁজে নাবালিকাকে ধর্ষণ, ঘটনায় সহযোগিতা করেছেন এক বিজেপি নেত্রী, গ্রেফতার চার

সম্প্রতি, বেশ কয়েকদিন ধরেই বাংলায় একের পর এক নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনা সামনে এসেছে। হাঁসখালি থেকে নামখানা কিংবা মাটিয়া থেকে বোলপুরের মত এলাকায় পরপর নারী নির্যাতন থেকে যৌন হেনস্থা কাণ্ডে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে নাবালিকাদের যেভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে, তাতে বর্তমানে নারী নিরাপত্তার বিষয়টি ক্রমশই তলানীতে গিয়ে ঠেকছে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। আর এবার গাইঘাটার বুকে পুনরায় এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠলো। এই ঘটনায় এক বিজেপি নেত্রীর জড়িত থাকার খবরও উঠে এসেছে।

বর্তমানে হাঁসখালি ধর্ষণ কাণ্ড নিয়ে বিতর্ক ক্রমশ বেড়ে চলেছে। এরই মাঝে একের পর এক এলাকা থেকে নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনা সামনে আসছে। এই নিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলগুলি বিশেষ করে বিজেপি দল রাজ্য সরকারের ওপর একের পর এক আক্রমণ করে চলেছে। তবে গাইঘাটা নামক অঞ্চল থেকে বর্তমানে যে নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনাটি প্রকাশ্যে এসেছে, সেখানে উল্টে এক বিজেপি নেত্রীর জড়িয়ে থাকার খবর পাওয়া যাচ্ছে। স্থানীয় থানার পুলিশ অবশ্য এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই সেই বিজেপি নেত্রী সহ 4 জনকে গ্রেফতার করেছে।

সূত্রের খবর, গাইঘাটার চড়ুইগাছি নামক অঞ্চলে এক কিশোরীকে জোর করে ধর্ষণ করে কিছু যুবকের দল। মাত্র 15 বছর বয়সী ওই কিশোরীকে ক্যামেরা দেখানোর নাম করে প্রথমে নিজের বাড়িতে নিয়ে যায় তারা এবং পরবর্তীকালে তাকে জোর করে ধর্ষণ করা হয়। এক্ষেত্রে নাবালিকাটি নিজেকে বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত তার মুখে কাপড় গুঁজে দেওয়া হয়, যাতে চিৎকার বাইরে না যায় এবং তৎক্ষনাৎ ঘরের ভিতর তীব্র স্বরে মিউজিক চালিয়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ নির্যাতিতার পরিবারের। এই পুরো ঘটনায় স্থানীয় বিজেপি নেত্রী পূর্ণিমা সরকারের নাম সামনে উঠে এসেছে।

পরিবার সূত্রে খবর, প্রথমে একটি ক্যামেরা দেখানোর বাহানা দিয়ে সেই নাবালিকাকে তার পাশের এক বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। এক্ষেত্রে প্রতিবেশী বাড়িটি হলো ওই বিজেপি নেত্রী পূর্ণিমা সরকারের। এরপর কিশোরীর বাবা তাকে খোঁজাখুঁজি করলেও না পেয়ে শেষ পর্যন্ত বাইরে বের হয় এবং হঠাৎ পূর্ণিমাদেবীর বাড়ি থেকে তীব্র শব্দের মিউজিক শুনতে পেয়ে প্রথমে তার সন্দেহ হয়। এরপর সন্দেহের বশেই বাড়ির ভেতর প্রবেশ করে নিজ মেয়ের সঙ্গে এক যুবকের আপত্তিজনক দৃশ্য তার চোখে পড়ে। এরপর নাবালিকাটি সব ঘটনা খুলে বলার পর পুলিশের কাছে তারা ধর্ষণের অভিযোগ জানায়।

পুলিশ সূত্রে খবর, পূর্ণিমা সরকার সহ চারজন ব্যক্তিকে বর্তমানে গ্রেফতার করা হয়েছে। পূর্ণিমা দেবী ছাড়া বাকি তিনজন হলেন অর্পণ সরকার, বাসুদেব বিশ্বাস এবং শুভঙ্কর মিস্ত্রি। আরো জানা গেছে যে, শেষের দুই ব্যক্তি কিছুদিন পূর্বে নবদ্বীপের কানাইনগর দক্ষিণপাড়া থেকে পূর্ণিমা দেবীর বাড়িতে এসে উপস্থিত হয় এবং তারা চারজন মিলেই এদিন নাবালিকাটির উপর জোর করে ধর্ষণ চালায় বলে অভিযোগ।

Sayan Das

সম্পর্কিত খবর