বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত বছর থেকে একাধিক দুর্নীতি ইস্যুতে তোলপাড় বাংলা (West Bengal)। শিক্ষা, চাকরি, ঘর, গরু, কয়লা, রেশন সর্বক্ষেত্রেই দুর্নীতিতে জর্জরিত রাজ্য। সম্প্রতি রেশন দুর্নীতিতে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রজট খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্ৰিয় মল্লিক। সেই নিয়েই শোরগোল। আর এরই মাঝে এবার আরেক দুর্নীতির হদিস। তাও আবার দান করা মৃতদেহ পাচারের (Body Donation Corruption)।
ঠিক কী অভিযোগ? শহর কলকাতার বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের অ্যানাটমি বিভাগ থেকে উত্তর পূর্ব ভারতের একটি মেডিক্যাল কলেজে দেহ পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি এই নিয়ে একটি নির্দেশিকা দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। সেই নির্দেশে বলা হয়েছে বছর ২০টি করে দেহ পাঠাতে হবে বিগত শিক্ষাবর্ষের (২০২৩-২৪) জন্য।
আর এই ইস্যুতেই সরব হয়েছেন চিকিৎসাবিজ্ঞান শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত প্রবীণ চিকিৎসকদের একাংশ। তাদের অভিযোগ, এই ভাবে এত পরিমাণ দেহ পাচার করা হতে থাকলে এতে দান করা দেহের অপব্যবহারের সম্ভাবনা থাকছে। এর পেছনেও কোনও দুর্নীতি চলতে পারে বলে আশঙ্কা।
আরও পড়ুন: ক্যাশ নয়, চালকলের মালিকের থেকে কমিশন বাবদ ‘এই’ জিনিস নিতেন বালু, প্রমাণ সহ ফাঁস করল ED
তাদের কথায় একটি মেডিক্যাল কলেজে স্নাতক স্তরের পড়াশুনোর জন্য যদি ২৫০ জন ছাত্রছাত্রী থাকে তাহলে এক বছরে সর্বাধিক ৫-৬টি দেহ যথেষ্ট। আর যদি কোনও মেডিক্যাল কলেজে স্নাতকোত্তর পড়ানো হয় তাহলে সর্বাধিক ১০টি দেহ লাগতে পারে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় বিদ্যুৎ দাস নামে এক চিকিৎসকের ভূমিকায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
চিকিৎসাবিজ্ঞানের প্রবীণ চিকিৎসকদের অভিযোগ, এই বিদ্যুৎ দাসই উত্তর- পূর্ব ভারতের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের হয়ে কলকাতার হাসপাতালগুলির সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের ক্ষেত্রে মিডিলমানের কাজ করে থাকেন। অ্যানাটমি বিভাগের অধ্যাপকদের কথায় এ রাজ্যে, বিশেষ করে কলকাতায় এক বছরে যে পরিমাণ দেহ দান করা হয় সেই সংখ্যাটা মেডিক্যাল কলেজের প্রয়োজনের তুলন্যায় অনেকটা বেশি।
তাই অন্যান্য রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলিতেও আবেদনের ভিত্তিতে দেহ পাঠানো হয়ে থাকে। তবে বিগত শিক্ষাবর্ষের জন্য কোনও মেডিক্যাল কলেজে কেন এত পরিমাণ দেহের প্রয়োজন হবে সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এই বিষয়ে মধ্যস্থতাকারী বিদ্যুৎ দাসের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হবে বলে স্বাস্থ্য ভবন তরফে খবর মিলেছে।