বাংলা হান্ট ডেস্ক : গত ২৬ এপ্রিল ছিল অভিনেত্রী মৌসুমী চ্যাটার্জির (Moushumi Chatterjee) ৬৯ তম জন্মদিন। গত সত্তরের দশকে তিনি ছিলেন সর্বাধিক উপার্জনকারী অভিনেত্রী দের একজন। আজ চারদশকেরও বেশী সময় মৌসুমী চ্যাটার্জি তার ক্যারিয়ারে হিন্দি এবং বাংলা ছবিতে সমানতালে কাজ করে গিয়েছেন। বেশ বড় বড় সিনেমায় কাজ করার কারণে আজও তাকে মনে রেখে দিয়েছে আমজনতা। কিন্তু আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন না, মৌসুমী চ্যাটার্জি বিয়ে করেছিলেন বেশ ছোট্ট বয়সেই।
অভিনেত্রী যখন পঞ্চম শ্রেণীতে ছিলেন, সেই ১০ বছর বয়সেই তিনি সম্পর্কের গহীনে প্রবেশ করেন। মাত্র ১৭ বছর বয়সেই তিনি মা হয়ে যান। আজকে আমরা তার ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে জানাবো।
মৌসুমী চ্যাটার্জির বিয়ে হয় দশম শ্রেণীতে। তার আগে ক্লাস ফাইভে পড়ার সময়ই তিনি অভিনয় করেন বালিকা বধূ সিনেমাতে। সিনেমা হিট হওয়ার পর থেকেই নানান জায়গা থেকে বিয়ের সম্বন্ধ আসতে থাকে। সেই বালিকা বধূ সিনেমাতে সঙ্গীত দিয়েছিলেন বিখ্যাত পরিচালক হেমন্ত কুমার। তিনিই পছন্দ করেছিলেন অভিনেত্রীকে। এরপর মৌসুমীর বাবার কাছে ছেলের জন্য তার মেয়ের হাত চেয়ে নেন। তাই পঞ্চম শ্রেণীতেই তার বাগদান সম্পূর্ন হয়ে যায়।
আরও পড়ুন:সাঁড়াশি চাপে পাকিস্তান! ইরানের সাথে ঘনিষ্ঠতা বাড়তেই লাল চোখ আমেরিকার, হুঁশিয়ারি পুতিনেরও
এরপর মাত্র ১৫ বছর বয়সেই বিয়ে করেন মৌসুমী। তার তাড়াতাড়ি বিয়ে করতে হয় তার পিসিমার কারণে। দশম শ্রেণীতে পড়ার সময়ই তার পিসিমার ক্যান্সার ধরা পড়ে। সেজন্য তাকে বিয়ে করতেই হয়। বিয়ের পর শ্বশুর হেমন্ত কুমার তাকে মুম্বাই নিয়ে যান। নিজের স্বাক্ষাৎকারে মৌসুমী চ্যাটার্জি জানিয়ে দেন যে, তার বাবা এবং বড় বোনের মধ্যে অগাধ ভালোবাসা ছিল। এজন্য তার পিসির কথায় বিয়ে করে নিতে বাধ্য হন।
এরপর জয়ন্ত মুখার্জিকে বিয়ে করার পর পরপর দুই মেয়ে পায়েল ও মেঘা মুখার্জির মা হন। মাত্র ১৫ বছর বয়সে বিয়ের পর ১৭ বছরেই দুই মেয়ের জন্ম দেন তিনি। সেসময় তারকা হয়ে যান নায়িকা। তবে রক্ষণশীল পরিবার থেকে আসার কারণে বেশ সমস্যায় পড়তে হয়। এরকমই এক ঘটনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্বামীর এক বন্ধু তার কোমরে হাত রেখেছিলেন তিনি সাথে সাথেই এই হাত সরিয়ে নিতে বলেন।
কোমরে হাত দেওয়া প্রসঙ্গে নায়িকা এও বলে দেন যে, ‘প্যাক-আপের পরে, আমি চাই না কোনও অভিনেতা আমার কাঁধে হাত রাখুক।’ কোমরে হাত দেওয়া সেই ব্যক্তিকে তিনি স্পষ্টই জানিয়ে দেন হাত সরিয়ে নিতে। তবে গত ২০১৫ সাল থেকে অভিনয় জগৎ থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে দিয়েছেন মৌসুমি চ্যাটার্জি। উল্লেখ্য, নায়িকার শেষ ছবি ছিল পিকু। তারপর থেকে আর বড় পর্দায় আসেননি তিনি।