বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ‘অনুব্রত গড়’ নামে খ্যাত বোলপুরে এবার প্রিয়া সাহাকে (Priya Saha) দাঁড় করিয়েছে বিজেপি (BJP)। প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণার পর থেকেই জোরকদমে প্রচার চালাচ্ছেন তিনি। তবে এবার সেই প্রিয়াকে নিয়েই সামনে এল একটি বড় খবর। বোলপুরের (Bolpur) পদ্ম প্রার্থীর দাদা তৃণমূলের অংশ। সেই কারণে কি কোথাও গিয়ে প্রচারে খানিক তাল কাটছে প্রিয়ার?
২০১৫ সালে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন প্রিয়া। এরপর দেখতে দেখতে কেটে গিয়েছে প্রায় ৯ বছর। প্রথমে কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত হন। এরপর বিধানসভা ভোটে দু’বার সাঁইথিয়া কেন্দ্র থেকে তাঁকে দাঁড় করায় পদ্ম শিবির। কিন্তু দু’বারই পরাজিত হন তিনি। তবুও চব্বিশের লোকসভা ভোটে প্রিয়ার ওপর আস্থা রেখেছে কেন্দ্রের শাসক দল।
অন্যদিকে জানা যাচ্ছে, প্রিয়ার দাদা তন্ময় (Tanmoy Saha) তৃণমূলের বুথ সভাপতি। একই পরিবারের অংশ হলেও দুই ভাই-বোনের আনুগত্য দুই ভিন্ন দলের প্রতি। শুক্রবার ফৈজুল্লাবাদে তৃণমূলের মহিলা সেলের বৈঠকেও হাজির ছিলেন বোলপুরের পদ্ম প্রার্থীর দাদা। তন্ময়ের পরিচয় করানোর সময় তাঁকে প্রিয়ার দাদা বলে উল্লেখ করা হয় বলে খবর।
আরও পড়ুনঃ বাতিল ২৩৭৫৩ চাকরিপ্রার্থীর নিয়োগ, SSC মামলায় ঐতিহাসিক রায় কলকাতা হাইকোর্টের
তবে ভাই-বোন দুই ভিন্ন দলের অংশ হলেও দু’জনের মধ্যেকার ভালোবাসা কিন্তু একইরকম আছে। কারণ রাজনীতি এবং ব্যক্তিগত জীবন দু’টো বিষয়কে আলাদা রেখেছেন তাঁরা। বিজয়ার প্রণাম থেকে শুরু করে ভাইফোঁটা সবটাই চলে তন্ময় প্রিয়ার মধ্যেই। রাজনীতির ময়দানে প্রতিপক্ষ হলেও ব্যক্তিগত জীবনে ভাই-বোনের মধুর সম্পর্ক এক্কেবারে অটুট।
একদিকে বোলপুরে পদ্ম ফোটানোর প্রাণপণ চেষ্টা করছেন প্রিয়া। অন্যদিকে শতাব্দী রায়কে জেতাতে নিজের সবটুকু উজাড় করে দিচ্ছেন তন্ময়। প্রিয়া এই প্রসঙ্গে এক সংবাদমাধ্যমের কাছে বলেন, রাজনীতিতে যাই হোক না কেন আর পাঁচজন সাধারণ ভাইবোনের মতোই আমাদের সম্পর্ক। সংকীর্ণ মানসিকতা থেকে ওঁকে আমার দাদা হিসেবে বড় করে দেখাতে চাইছে তৃণমূল। তবে তৃণমূলেরও অনেক নেতার স্ত্রী, বাবা, দাদা বিজেপির অংশ। কিন্তু আমরা পারিবারিক পরিচয় ব্যবহার করি না। প্রিয়ার কথা থেকেই পরিষ্কার, রাজনীতি এবং ব্যক্তিগত জীবন দু’টো জিনিসকে আলাদা পরিসরে রাখতেই পছন্দ করেন তিনি। দুই পরিবারের লোকজনের মুখেও শোনা গিয়েছে এই একই কথা।