বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বাংলার বুকে ফের একবার বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা। বোমা ফেটে আহত দুই শিশু। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা (South 24 Pargana) জেলার কুলপি (Kulpi) থানা সংলগ্ন ছামনাবনি গ্রামে। বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় গ্রেফতার চার অভিযুক্ত যুবক।
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। কখনো মিনাখাঁ, তো কখনো আবার বীরভূমের সাঁইথিয়া; একের পর এক ঘটনায় প্রাণ গিয়েছে অনেকেরই। সূত্রের খবর, এদিন কুলপি থানা সংলগ্ন ছামনাবনি গ্রামে বোমা ফেটে বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে। এক্ষেত্রে এলাকার একটি পোলের নিচে প্লাস্টিকের ভিতরে মোড়া অবস্থায় ছিল বোমা। পরবর্তীতে তিন নাবালক বোমাগুলিকে বল ভেবে খেলতে গেলে ঘটে বিপত্তি।
আচমকা বিস্ফোরণের ঘটনায় মুহূর্তের মধ্যেই জখম হয়ে পড়ে দুই শিশু। স্থানীয় সূত্রে খবর, বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। পরবর্তীতে আহত শিশুদের স্থানীয় গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া এবং বর্তমানে তারা সুস্থ রয়েছে বলেই খবর। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে তিন অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। একইসঙ্গে পাঁচটি তাজা বোমা এবং একটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা গিয়েছে।
বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা বাংলায় এই প্রথম নয়। গতকাল মিনাখাঁয় এক তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে বোমা ফেটে গুরতরভাবে জখম হয়ে পড়ে এক শিশু। এক্ষেত্রে তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে কি কারণে বোমা মজুত রাখা হয়েছিল, সে বিষয়ে স্পষ্ট না জানা গেলেও পরবর্তীতে মৃত্যু হয় শিশুটির এবং এক্ষেত্রে তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পাশাপাশি সম্প্রতি বীরভূমের সাঁইথিয়ায় বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা আহত হয় এক তৃণমূল কর্মী এবং অপর এক নাবালক।
উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত নির্বাচনের পূর্বে একের পর এক বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় ইতিমধ্যেই সরব বিরোধী দলগুলি। এক্ষেত্রে বোমা মজুত রাখার নেপথ্যে শাসক দলের যোগ রয়েছে এবং পঞ্চায়েতের পূর্বে গোটা বাংলা জুড়ে সন্ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য তাদের এই ষড়যন্ত্র বলে দাবি করে আসছে সিপিএম এবং বিজেপির মতো দলগুলি। এদিন কুলপিতে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা যেন তারই প্রকৃষ্ট উদাহরণ।