বাংলাহান্ট ডেস্ক : যত দিন যাচ্ছে ততই সাধারণ মানুষ ইলেকট্রিক গাড়ির উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছেন। ক্রমবর্ধমান জ্বালানির দাম বৃদ্ধি ও দূষণ, এই দুইয়ের অনেকেই ইলেকট্রিক গাড়ির উপর ভরসা রাখছেন। শিল্পশহর আসানসোলেও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে পরিবেশ দূষণ। সেখানকার বাসিন্দারাও ইলেকট্রিক যানবাহনের উপর ভরসা করতে চাইছেন।
পরিবেশবান্ধব ইলেকট্রিক চারচাকা গাড়ির দাম অনেক বেশি হলেও বেশ সস্তায় পাওয়া যায় ইলেকট্রিক স্কুটার ও টু হুইলার গাড়ি। বেশ কয়েকটি ইলেকট্রিক স্কুটারের দোকান রয়েছে আসানসোলে। এই দোকানগুলোতেও মিলছে ভালো সাড়া। এবার উত্তরপ্রদেশের একটি সংস্থা আসানসোলে খুলতে চলেছে ইলেকট্রিক স্কুটি ও বাইক তৈরির কারখানা।
আরোও পড়ুন : রেশন নিয়ে বড়সড় ঘোষণা কেন্দ্রের! এই সময় পর্যন্তই বিনামূল্যে মিলবে সুবিধা
আসানসোলে এবার ইলেকট্রিক স্কুটি ও বাইক তৈরির কারখানা স্থাপন করবে BQI ইলেকট্রিক নামে একটি বেসরকারি ইলেকট্রিক স্কুটি ও বাইক প্রস্তুতকারক সংস্থা। সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে এই ঘোষণা করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষের দাবি, আগামী এপ্রিল মাস থেকেই নতুন প্রোডাকশন শুরু হয়ে যাবে এই কারখানায়। আসানসোল বাংলা ও ঝাড়খন্ড সীমান্তের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি শহর।
আরোও পড়ুন : এ যেন পেটের মধ্যে থাকা আস্ত আলমারি! অপারেশন করতেই যা যা বেরোল…..শুনলে আঁতকে উঠবেন
অন্যদিকে, আসানসোল থেকে সহজেই যোগাযোগ স্থাপন করা যায় বাংলা, ঝাড়খন্ড ও বিহারে। সংস্থার সিইও রাহুল সিনহা জানিয়েছেন এই কারণেই তারা বেছে নিয়েছেন আসানসোলকে। রাহুল সিনহা বলেছেন, বেশ কয়েকটি শোরুম রয়েছে তাদের পশ্চিমবঙ্গে। তাদের তৈরি ইলেকট্রিক স্কুটি ও বাইকের ভালো চাহিদা রয়েছে এ রাজ্যে। এছাড়াও চাহিদা রয়েছে ঝাড়খন্ড ও বিহারে।
এই কারণে কারখানা তৈরির জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে আসানসোলকে। সংস্থার জেনারেল ম্যানেজার পার্থপ্রতীম বন্দোপাধ্যায়ের কথায়, “আমি বাঙালি বলে একটা টান রয়েছে বাংলার সাথে। চেয়েছিলাম বাংলায় একটা কারখানা হোক। যেভাবে দূষণ বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে ইলেকট্রিক গাড়িই ভরসা। এই কারখানার ফলে যেমন উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে, তেমনই কর্মসংস্থান হবে।”