চীনের সাথে সংঘাতের খবর আসতেই ‘ব্রহ্মোস” মিসাইলকে অপারেশনাল ক্লিয়ারেন্স দিলো ভারত

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গতকাল লাদাখের (Ladakh) গালওয়ান উপত্যকায় ভারত (India) আর চীনের (China) মধ্যে খুনি সংঘর্ষ বাধে। এই হিংসাত্মক সংঘর্ষে দুই পক্ষেরই ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের এক কর্নেল সমেত তিন সেনা জওয়ান শহীদ হয়েছে আরেকদিকে, চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মীর পাঁচ জওয়ানকে খতম করেছে ভারত এবং ১১ জন আহতও হয়েছে। দুই পক্ষের এই টানটান উত্তেজনার কারণে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং তিন সেনার প্রধান এবং চীফ অফ ডিফেন্স স্টাফকে নিয়ে জরুরী বৈঠকে বসেন।

আরেকদিকে, চীন স্বীকার করেছে যে তাদের সেনা ভারতের জানায় মারা গেছে। এবং তাদের তরফ থেকে বলা হয়েছে দুই দেশকেই ধৈজ্য ধরতে হবে। আর ভারত এবং চীনের মধ্যে এই উত্তেজনা চলার মধ্যে বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। লাদাখ সীমান্তে এই সংঘর্ষের পর ভারতের সুপারসনিক ব্রহ্মোস (BrahMos) মিসাইলকে সামরিক অভিযানে অংশ নেওয়ার ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।

এই উত্তেজনার মুহূর্তে ভারতের এই সিদ্ধান্ত বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সুত্র অনুযায়ী, সুপারসনিক ব্রহ্মোস মিসাইল্কে ফ্লিট ক্লিয়ারেন্স দিয়েছে সংশ্লিষ্ট সংস্থা। আর এই ছাড়পত্রের ফলে কমব্যাট মিশনে ব্রহ্মোস সুপারসনিক মিসাইলকে অবাধে ব্যবহার করতে পারবে ভারতীয় সেনা।

এই সুপারসনিক ব্রহ্মস মিসাইল ৩০০ কিমি দূরে থাকা নিজের লক্ষ্যে একদম অভেদ্য নিশানা সাধতে পারে। পিন পয়েন্ট সঠিকতার সাথে স্থলের নিশানাকে ধ্বস্ত করা এই মিসাইল পরীক্ষণ ভারতীয় বায়ুসেনার শক্তি অনেক গুণ বাড়িয়ে দেয়। স্থল থেকে স্থলে লক্ষ্য ভেদ করার মামলায় বায়ুসেনা আগের থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী হয়েছে। বর্তমানে চীন আর পাকিস্তানের কাছে এখনো পর্যন্ত এমন মিসাইল নেই যেটা জল, স্থল আর বায়ু এই তিন যায়গা থেকে নিশানা সাধতে পারে।

ব্রহ্মস কম দূরত্বের রেমজেট ইঞ্জিন যুক্ত সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইল। এই মিসাইলকে সাবমেরিন, জাহাজ, যুদ্ধ বিমান অথবা মাটি থেকেও সহজেই ফায়ার করা যায়। ব্রহ্মস মিসাইলকে দিন হোক আর রাত, আর যেকোন আবহাওয়াতেই ফায়ার করা যেতে পারে। আর কোন পরিস্থিতিতেই এই মিসাইলের মারক ক্ষমতা কমে না।

রেমজেট ইঞ্জিনের কারণে এই মিসাইলের ক্ষমতা তিন গুণ বেড়ে যায়। যদি কোন মিসাইলের ক্ষমতা ১০০ কিমি দূর পর্যন্ত থাকে, তাহলে এই রেমজেট ইঞ্জিনের সাহায্যে সেটিকে ৩০০ কিমি দূর পর্যন্ত করা যায়। রাশিয়ার সংস্থা আর ভারতের ডিআরডিও মিলে এই সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইলকে উন্নত করার কাজ করেছে। এই মিসাইল রাশিয়ার পি-৮০০ ক্রুজ মিসাইলের টেকনোলোজির উপর আধারিত। ব্রহ্মস মিসাইলের নাম ভারতের ব্রহ্মপুত্র নদী আর রাশিয়ার মস্কবা নদীর নামে রাখা হয়েছে। এই সুপারসনিক মিসাইলের গতি শব্দের গতির থেকে তিন গুণ বেশি। এই মিসাইল ফায়ার হলে, শত্রুরা বাঁচার জন্য সময় পাবেনা।

Koushik Dutta

সম্পর্কিত খবর