বয়স ৫৬ বছর, রয়েছে ১১ জন সন্তান! মেয়েদের বিয়ের দিনে নিজে ফের বিয়ে করে ফেললেন বাবা

বাংলা হান্ট ডেস্ক: প্রেম (Love) এমনই একটি জিনিস যেটি মানে না কোনো বাধা। এমনকি বলা হয় যে, প্রেমে পড়লে মানুষ নাকি ভালোবাসার টানে দিকবিদিক জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। অর্থাৎ, একজন মানুষ যেকোনো সময়েই প্রেমে পড়তে পারেন। এমতাবস্থায়, এই তত্ত্বকেই কার্যত প্রমাণ করে দেখালেন পাকিস্তানের (Pakistan) ৫৬ বছর বয়সী এক ব্যক্তি।

এমনকি, তাঁর কান্ডকারখানা শুনে অবাক হবেন যে কেউই। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই ওই ব্যক্তি পাঁচটি বিয়ে করে ফেলেছেন। এমনকি, ১১ জন সন্তানও রয়েছে তাঁর। যাদের মধ্যে ১০ জন কন্যা এবং একজন পুত্র রয়েছে। এদিকে, তাদের মধ্যে আবার আট কন্যা এবং একটি মাত্র পুত্রের বিবাহও হয়ে গিয়েছে। এমতাবস্থায়, জেনে অবাক হবেন যে, এবার ওই ব্যক্তির মেয়েরাই তাদের বাবার জন্য নতুন পাত্রী খুঁজে পেয়েছে। ইতিমধ্যেই অনন্য এই প্রেমের কাহিনি ভাইরাল হতে শুরু করেছে ইউটিউবে।

ইউটিউব চ্যানেল ডেইলি পাকিস্তান গ্লোবালের মতে, শওকত নামের ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন যে তিনি আর বিয়ে করতে চাননি। কিন্তু দুই মেয়ের জেদের সামনে হেরে যান তিনি। শওকত বলেন, তাঁর আট মেয়ের বিয়ে হয়েছে। বাড়িতে শুধু দুই মেয়ে ছিল। তাদের বিয়ের পর বাড়িটা ফাঁকা হয়ে যেত। তাই তাঁর মেয়েরা শওকতের পঞ্চম বিয়ের জন্য পাত্রী খুঁজতে শুরু করে। শুধু তাই নয়, পাত্রী খুঁজে পাওয়ার পর ওই দুই মেয়ের বিয়ের দিনই শওকতেরও পঞ্চম বিয়ে সম্পন্ন হয়।

এই প্রসঙ্গে শওকত জানান, তাঁর চার স্ত্রীর মধ্যে সবাই মারা গেছেন। তিনি আরও বলেন, “অনেকে সারা জীবন জুড়ে তাঁদের ভালোবাসার মানুষটিকে খুঁজে পান না। অথচ, আমি তা পাঁচবার পেয়েছি। মেয়েরা চেয়েছিল যে, আমি আবার বিয়ে করি। কারণ আমাকেও আমার জীবনযাপন করতে হবে। সেজন্য আমি হ্যাঁ বলেছি।”

WhatsApp Image 2022 10 11 at 8.27.57 PM

এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, শওকতের পরিবার অনেক বড়। তাঁর মোট ৪০ জন নাতি-নাতনি রয়েছে। এমনকি, পুরো পরিবারে মোট ৬২ জন সদস্য রয়েছেন। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, তাঁরা সবাই একসাথেই থাকেন। এমতাবস্থায়, শওকতের নতুন স্ত্রীর এত বড় সংসার নিয়ে কোনো সমস্যা নেই বলেও জানা গিয়েছে। এদিকে, শওকত জানিয়েছেন, “এক বেলায় আমার পরিবারের জন্য প্রায় ১০০ টি রুটি তৈরি হয়। নতুন স্ত্রীর এই নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। আমি একটি বড় পরিবার পছন্দ করি। পাশাপাশি আমিও ধীরে ধীরে পুরোপুরি মানিয়ে নেব।”

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর