খরচ ১৭০০ কোটি টাকা! চোখের সামনে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের নির্মাণাধীন সেতু

বাংলা হান্ট ডেস্ক : বিহারের (Bihar Bridge Collapse) ভাগলপুরে গঙ্গায় ফের ভেঙে পড়ল নির্মীণমান সেতু। যে ভয়াবহ মুহূর্তের দৃশ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকরা। ঘটনাস্থলে এসে গিয়েছেন ভাগলপুর সদরের মহকুমা শাসক ধনঞ্জয় কুমার। সেই ঘটনায় আপাতত কোনও হতাহতের খবর মেলেনি।

প্রশাসনিক সূত্রে খবর, আপাতত পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তারপরই ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি বোঝা যাবে। তবে রবিবারের ঘটনার পর সেতু নির্মাণের বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। কারণ গত বছরের এপ্রিলে ওই সেতুটি ভেঙে পড়েছিল। সেই ঘটনার পর ১৪ মাস কাটতে না কাটতেই ফের ভেঙে পড়ল সেতুর একাংশ।

মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের একটি স্বপ্নের প্রকল্প এই সেতু। খরচ ধরা হয়েছে ১৭৫০ কোটি টাকা। নিজে ওই ব্রিজের কাজকর্ম তদারকি করছেন। তার পরেও কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে য়াচ্ছে। আপাতত জলের উপরে সার্চ লাইট জ্বালিয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। পাশাপাশি কীভাবে ফের ব্রিজটি ভেঙে পড়ল তানিয়ে প্রশাসনিক তদন্ত হতে চলেছে বলে জানা যাচ্ছে। যে অংশটি ভেঙে পড়েছে তার দৈর্ঘ ১০০ মিটার।

ডেপুটি ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টর কুমার অনুরাগ জানান, ‘আজ সন্ধ্যায় ওই নির্মায়মাণ সেতুটি ভেঙে পড়েছে। এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর মেলেনি। ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছেন প্রশাসনের আধিকারিকরা। পুল নির্মাণ নিগমের থেকে রিপোর্ট তলব করা হয়েছি।’ তারইমধ্যে সুলতানগঞ্জের বিধায়ক ললিতকুমার মণ্ডলের দাবি, চূড়ান্ত গাফিলতির কারণে নির্মীয়মান সেতুটি ভেঙে পড়েছে। সেই ঘটনায় উচ্চপর্যায়ের তদন্ত করে দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে বলে দাবি করেছেন সুলতানগঞ্জের বিধায়ক।

বিহার স্টেট ব্রিজ কনস্ট্রাকশন কর্পোরেশনের একজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার যোগেন্দ্র কুমার সংবাদমাধ্যমে বলেন, ব্রিজটির একাংশ ভেঙে পড়েছে। আমি ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। এর বেশি এখন কিছু বলা সম্ভব নয়। ঘটনাস্থলেই নতুন কিছু বলতে পারব। খাগারিয়ায় জেলাশাসকের দাবি, হতাহতের কোনও খবর নেই।

এলাকার বিধায় ডা সঞ্জীব কুমার ব্রিজ তৈরির মাল মশলার মান নিয়ে প্রশ্ন তুলে গিয়েছেন। তিনি বলেন, আগেই আমি এনিয়ে আগেই বলেছিলাম। মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প হলেও ব্রিজটি তৈরি করছে এস পি সিংলার মতো কোম্পানি। সমস্যা এখানেই।

Sudipto

সম্পর্কিত খবর