ব্রিগেডে পাঁচ লক্ষের লক্ষ্য! দিলীপ-সুকান্ত-শমীকদের উপস্থিতিতে বড় শক্তিপ্রদর্শন

Published on:

Published on:

Brigade Gita Chanting 7th December 2025
Follow

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দু’বছর পর আবার ডিসেম্বরেই কলকাতার ব্রিগেডে (Brigade) হচ্ছে বড় গীতাপাঠের অনুষ্ঠান। ২০২৩ সালে যেটা ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ’ নামে হয়েছিল, এ বার তার থেকেও বড় আয়োজন। আয়োজন করছে ‘সনাতন সংস্কৃতি সংসদ’। তবে এই কর্মসূচির পিছনে বিজেপির সক্রিয় ভূমিকা আছে, সেটা স্পষ্ট।

কোন নেতারা থাকছেন?

এই অনুষ্ঠানের ঘোষণা প্রথম করেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি শেষ পর্যন্ত থাকবেন কি না নিশ্চিত নয়। তবে নিশ্চিত ভাবে থাকছেন দিলীপ ঘোষ, রাজ্য বিজেপির সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। দিলীপ ঘোষকে নিয়ে দলে নানা জল্পনা থাকলেও তিনি জানিয়েছেন, “আমন্ত্রণ পেয়েছি। অবশ্যই যাব। সকাল ৯টার মধ্যেই পৌঁছে যাব ব্রিগেডে।”

আয়োজকরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস, দু’জনকেই আমন্ত্রণ দিয়েছেন। কিন্তু কেউই আসছেন না বলে খবর। রাজ্যপাল দিল্লিতে আছেন, আর মুখ্যমন্ত্রীও এ বার অনুষ্ঠানে থাকবেন না বলে জানা গিয়েছে।

কেমন সাজছে ব্রিগেড (Brigade)?

গীতাপাঠের জন্য ব্রিগেডে (Brigade) তিনটি বড় মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। মুল মঞ্চে থাকবেন দেশজোড়া বিখ্যাত সাধুসন্তরা। এখান থেকেই হবে গীতাপাঠ। দু’পাশে তৈরি হয়েছে আরও দুই মঞ্চ, যেখানে থাকবেন বাংলার সাধুসন্তরা।

সামনে একটি ছোট মঞ্চে থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। তিনটি গান দিয়ে শুরু হবে পুরো কর্মসূচি।

ব্রিগেডে (Brigade) আজকে আরএসএসের পূর্ব ভারতের বড় বড় নেতারাও থাকবেন। প্রধান অতিথিদের মধ্যে রয়েছেন-

  • স্বামী প্রদীপ্তানন্দ (ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ)
  • নির্গুণানন্দ ব্রহ্মচারী (রিষড়া প্রেমমন্দির)
  • বন্ধুগৌরব দাস মহারাজ (জগৎবন্ধু আশ্রম)

এ ছাড়াও আসতে পারেন স্বামী জ্ঞানানন্দ, বাবা রামদেব, বাগেশ্বর ধামের ধীরেন্দ্র কৃষ্ণ শাস্ত্রী, সাধ্বী ঋতম্ভরা-সহ বহু সর্বভারতীয় সাধুসন্ত।

Brigade Gita Chanting 7th December 2025

আরও পড়ুনঃ ভোটের মুখে জোড়া প্রকল্পে গতি! আলাদা টেন্ডার পোর্টাল চালু করে চমক নবান্নের

পাঁচ লক্ষ মানুষের জমায়েত হবে তো?

এ বার দাবি করা হয়েছে পাঁচ লক্ষ মানুষ ব্রিগেডে (Brigade) গীতাপাঠ করবেন। ২০২৩ সালের অনুষ্ঠানে ‘লক্ষ কণ্ঠে’ বলা হলেও পরে দাবি হয়েছিল প্রায় ১ লক্ষ ৩৭ হাজার মানুষ এসেছিলেন। সেটা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল। তাই এ বার পাঁচ লক্ষ মানুষ সত্যিই আসবেন কিনা, এই প্রশ্নই এখন ঘুরছে রাজনৈতিক মহলে।