অস্ত্র, গরুপাচার নিয়ে BSF-র ঘাড়ে দায় চাপিয়েছিলেন মমতা! পাল্টা দিল সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনীও

বাংলাহান্ট ডেস্ক : সোমবার রাজ্যের কয়লা পাচার এবং গোরু পাচার নিয়ে সিআইএসএফ এবং বিএসএফ এর দিকে আঙুল তোলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘রাজ্যে কয়লা সামলায় সিআইএসএফ এবং গোরু সামলায় বিএসএফ। তাই এতে আমাদের কিছু করার নেই।’ আর এবার মুখ্যমন্ত্রীর এই অভিযোগ উড়িয়ে পাল্টা তোপ দাগলেন বিএসএফ কর্তা।

সোমবার সন্ধ্যে নাগাদই এই প্রসঙ্গে মুখ খোলেন সীমান্ত রক্ষা বাহিনীর ডিআইজি সুরজিৎ সিং গুলারিয়া। তাঁর পালটা তোপ, ‘বাংলাদেশ থেকে যদি সীমান্ত পথে বাংলায় অস্ত্র পাচার হয়ে থাকে তাহলে সেই খবর বিএসএফকে কেন জানায়নি রাজ্য পুলিশ?’ অস্ত্র পাচার নিয়ে মুখ খুললেও গোরু পাচার নিয়ে কিছু বলতে শোনা যায়নি সীমান্ত বাহিনীর কর্তাকে।

এদিন গুলারিয়া বলেন, ‘ভিনরাজ্য থেকে অস্ত্র পশ্চিমবঙ্গে পাচার হয়ে থাকলে তার দায় কোনও মতেই বিএসএফ এর উপর বর্তায় না। বাংলাদেশ থেকে অস্ত্র ভারতে এসে থাকলে খবর থাকা সত্ত্বেও সেই তথ্য কেন সীমান্ত রক্ষা বাহিনীকে জানায়নি রাজ্য পুলিশ?’ রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেও ভারত থেকে বাংলাদেশে অস্ত্র পাচারের কথা স্বীকার করেছেন বিএসএফ এর ডিআইজি। পাচার হতে যাওয়া ২৪ টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং ২৮ টি কার্তুজ গত বছর সীমান্ত এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল বলেও জানান তিনি।

বলাই বাহুল্য, মুখ্যমন্ত্রী এবং সেনাকর্তার মধ্যের এই চাপান উতোরে কার্যতই অন্য রঙ দেখছে পর্যবেক্ষক মহল। গোরু পাচার এবং কয়লা পাচার মামলায় নাম জড়িয়েছে মুখ্যমন্ত্রী ঘনিষ্ঠ অনুব্রত মণ্ডলের। বারবার সিবিআইয়ের তলব এড়িয়ে গেলেও এবার বেশ পাকেই পড়েছেন মমতার অন্যতম ভরসার কেষ্ট। তাঁর রক্ষাকবচের আবেদন খারিজ করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। এহেন পরিস্থিতিতেই আবারও ৬ এপ্রিল নিজাম প্যালেসে ডাক পড়েছে অনুব্রতর। এবার সেই তলব এড়ালে কড়া আইনী পথেই হাঁটবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল তা একপ্রকার স্পষ্ট। ফলে এহেন পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কয়লা এবং গোরু পাচার সংক্রান্ত এই মন্তব্য যে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ তেমনটাই মত ওয়াকিবহাল মহলের।


Katha Bhattacharyya

সম্পর্কিত খবর