বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২৩ এপ্রিল থেকে পাকিস্তানে বন্দি ছিলেন। দীর্ঘ টানাপড়েন শেষে বুধবার সকালে ফের ভারতে ফিরলেন বিএসএফ (BSF) জওয়ান পূর্ণম কুমার সাউ (Purnam Kumar Shaw)। তারপরেই খুশির হাওয়া রিষড়ার এই জওয়ানের পরিবারে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) ধন্যবাদ জানিয়েছেন পূর্ণম পত্নী রজনী সাউ। ‘মোদীজি থাকলে সব সম্ভব’, বলেন তিনি। সেই সঙ্গেই জানান, তিন দিন তাঁর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
স্বামী ফেরার পর মোদী-মমতাকে নিয়ে কী বললেন রজনী? (Purnam Kumar Shaw)
পহেলগাঁও কাণ্ডের পর গত ২৩ এপ্রিল ভুল করে পাকিস্তানের মাটিতে চলে যান বাংলার পূর্ণম। ফিরোজপুর সেক্টরে ডিউটি করার সময় তাঁর শরীর খারাপ লাগছিল। যে কারণে একটি গাছের ছায়ায় বসেন বলে খবর। বুঝতে পারেননি, নিজের অজান্তেই সীমানা অতিক্রম করে পাক-ভূমে চলে গিয়েছেন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে আটক করে পাক রেঞ্জার্সরা। ভারত-পাক উত্তেজনার আবহেও সেদেশে বন্দি ছিলেন পূর্ণম। উৎকণ্ঠায় দিন কাটিয়েছিলেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা।
অবশেষে এদিন সকালে ১০:৩০ নাগাদ আটারি-ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে ভারতের হাতে পূর্ণমকে তুলে দেয় পাকিস্তান। স্বামী ফিরে আসতেই প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান রজনী। পিকে-পত্নী বলেন, ‘মোদীজি থাকলে সব কিছু সম্ভব। ২২ তারিখ পহেলগাঁও হামলার পর ১৫-২০ দিনের মধ্যে অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে সবার সিঁদুরের বদলা নিয়েছিলেন। তার ৩-৪ দিনের মধ্যে আমার সিঁদুর ফিরিয়ে দিলেন। তাই আমি হাত জোড় করে ওনাকে অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি’।
আরও পড়ুনঃ সদ্য বেড়েছে DA! এবার সরকারি কর্মীদের বেতন বৃদ্ধি নিয়ে বড় আপডেট
রিষড়ার এই জওয়ান দেশে ফিরে এসেছেন শোনামাত্রই রজনীকে ফোন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময় পূর্ণমের স্ত্রীর ফোন খারাপ থাকায় কথা হয়নি। ঘণ্টা দেড়েক পর ফের ফোন করেন মমতা। ফোন ধরা মাত্রই বলেন, ‘আমার ভাই ভালো আছে’। জবাবে রজনী (Rajani Shaw) বলেন, ‘হ্যাঁ উনি ফিরে এসেছেন’। মুখ্যমন্ত্রী জানান, পূর্ণমের দেশে ফেরার খবর পাওয়া মাত্রই তিনি ফোন করেছিলেন। রজনী বলেন, ফোন খারাপ হয়ে যাওয়ায় তখন সারাতে দিয়েছিলেন।
এদিন স্থানীয় চেয়ারম্যান, সাংসদ সহ মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি নিজের কৃতজ্ঞতা জাহির করেছেন পূর্ণমের স্ত্রী। তিনি বলেন, ‘প্রথম দিন থেকে চেয়ারম্যান স্যার পাশে আছেন। এরপর কল্যাণ স্যার এসেছিলেন। সবশেষে দিদির সঙ্গে যোগাযোগ হয়। আমি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার অনুরোধ জানিয়েছিলাম। উনি লাগাতার তিন দিন আমার সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। চতুর্থ দিন আমার স্বামী ভারতে ফিরলেন। সমর্থন ছাড়া কিছু হয় না। গোটা দেশ আমার জন্য লড়াই করছিল। পুরো দেশ আমার পাশে ছিল। চেয়ারম্যান স্যার, কল্যাণদা সহ অনেকে এসেছিলেন। সবাইকে হাত জোড় ধরে ধন্যবাদ জানাচ্ছি’।
উল্লেখ্য, পূর্ণমকে (Purnam Kumar Shaw) পাক রেঞ্জার্সরা আটক করার পর থেকেই ছুটোছুটি করছিলেন তাঁর গর্ভবতী স্ত্রী। পাঠানকোট অবধি ছুটে যান রজনী। দীর্ঘ ২০ দিনের ‘লড়াই’ শেষে ভারতে ফিরেছেন স্বামী। পূর্ণমের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা হয়েছে তাঁর। স্বামী আসায় মুখে হাসি ফুটেছে রজনীর।