বাংলা হান্ট ডেস্ক: বেসরকারি টেলিকম সংস্থাগুলির প্রভাবে বিগত বছরগুলিতে প্রতিযোগিতায় ক্রমশ পিছিয়ে পড়েছিল রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থা BSNL (Bharat Sanchar Nigam Limited)। যদিও, এবার ওই সংস্থা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। পাশাপাশি, গ্রাহক পরিষেবার কথা মাথায় রেখে তারা একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপও গ্রহণ করছে।
এদিকে, ভারতে ইতিমধ্যেই 5G পরিষেবা শুরু হয়েছে। Reliance Jio এবং Airtel ভারতের ৬৫ টিরও বেশি শহরে তাদের 5G পরিষেবা চালু করেছে। এমতাবস্থায়, Jio, Airtel এবং Vodafone Idea-এর 4G পরিষেবা অনেক আগে থেকেই ভারতে চালু হয়েছে। কিন্তু BSNL এখনও 3G পরিষেবাতেই আটকে রয়েছে।
তবে, এবার সংস্থাটি শীঘ্রই তার 4G পরিষেবা শুরু করতে চলেছে। এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় টেলিকম মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব আগেই জানিয়েছিলেন যে, BSNL ২০২৩ সালের প্রথম দিকে 4G পরিষেবা শুরু করবে। যদিও, BSNL নিশ্চিত করেছে যে, 4G লঞ্চকে ২০২৩ সালের দ্বিতীয়ার্ধে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। এমতাবস্থায়, এই বিলম্বের কোনো কারণ জানানো হয়নি।
BSNL-এর 5G পরিষেবা কবে শুরু হবে: এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, কেন্দ্রীয় টেলিকম মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব ইতিমধ্যেই নিশ্চিত করেছেন যে, ২০২৪ সালে BSNL-এর 5G পরিষেবা চালু হবে। কিন্তু 4G পরিষেবা এখনও চালু হয়নি। উল্লেখ্য যে, BSNL স্থানীয় 4G সরঞ্জাম ব্যবহার করবে, যার জন্য তারা তেজস নেটওয়ার্কের সাহায্য নিচ্ছে। পাশাপাশি, TCS সিস্টেম ইন্টিগ্রেটরের ভূমিকা পালন করবে। এছাড়াও, C-DOT BSNL-কে দেশীয় 4G পরিষেবা চালু করতে সাহায্য করবে।
তবে, এই লঞ্চে দেরি হলে ক্ষতি হতে পারে BSNL-এর। বর্তমানে সংস্থার কাছে গ্রাহক বাড়ানোর খুব ভালো সুযোগ রয়েছে। কারণ বাজারে স্থিত অন্যান্য টেলিকম অপারেটরগুলি থেকে ক্রমশ আগ্রহ হারাচ্ছেন গ্রাহকেরা। এমতাবস্থায়, BSNL এখন যদি 4G চালু করে দেয় সেক্ষেত্রে সংস্থারই লাভ হবে। যদিও, এই লঞ্চটি আরও পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই টেলকো টুইট করেছে যে, “২০২৩ সালের দ্বিতীয়ার্ধে 4G পরিষেবা চালু হবে।”