চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে কোটি টাকা লেনদেন! সেই টাকায় হয় আলুর ব্যবসা? জীবনকৃষ্ণকে নিয়ে বিস্ফোরক ED

Published on:

Published on:

Burwan Trinamool MLA in ED custody in recruitment corruption case

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam) মামলায় ফের সামনে এল নতুন চাঞ্চল্যকর তথ্য। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি-র দাবি, বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রার্থীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, সেই অর্থ নাকি ব্যবহার করা হয়েছে আলু ব্যবসায়। এই অভিযোগে পুলিশ তদন্ত শুরু করলে তদন্তে একের পর এক নতুন তথ্য সামনে আসতে শুরু করে।

শুক্রবার সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হন এক তরুণী-সহ মোট ছ’জন প্রার্থী। তাঁদের দাবি, চাকরির প্রতিশ্রুতি (SSC Scam) দিয়ে মোটা টাকা নিয়েছিলেন জীবনকৃষ্ণ। ইডি সূত্রে খবর, তাঁর অ্যাকাউন্টে অন্তত ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা ঢুকেছে। তবে জানা গিয়েছে, চলতি বছরে জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর কিছু প্রার্থীকে আংশিক টাকা ফেরত দেন তিনি।

দুর্নীতির (SSC Scam) টাকা দিয়ে আলু ব্যবসা তৃণমূল নেতার

তদন্তকারীদের মতে, প্রার্থীদের কাছ থেকে সংগৃহীত টাকা আলু কেনাবেচায় লাগাতেন জীবনকৃষ্ণ। বাজারদর বেড়ে গেলে সেই আলু বিক্রি করে মুনাফা করতেন তিনি। এমনকি আলু বন্ডেও নাকি বিনিয়োগ করেছিলেন তিনি। ইডির দাবি, এইভাবে নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Scam) টাকা ব্যবহার করে কৃষি ব্যবসায় লাভের হিসেব করেছেন বিধায়ক। যদিও জীবনকৃষ্ণ নিজের অবস্থানে অনড়। তাঁর বক্তব্য, “আমাদের পারিবারিক ব্যবসার টাকাই জমা হয়েছে অ্যাকাউন্টে।”

শতাধিক প্রার্থীর কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ জীবনকৃষ্ণর বিরুদ্ধে

শতাধিক প্রার্থীর কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে জীবনকৃষ্ণর বিরুদ্ধে। প্রথম দফায় ইডি ২০ জনকে তলব করেছে। এর মধ্যে ৬ জনকে জেরা করেই পাওয়া গেছে বিস্ফোরক তথ্য। বাকিদেরও শিগগিরই ডাকা হবে বলে জানা গিয়েছে। তলব করা প্রার্থীদের মধ্যে অনেকেই টাকা দিয়েও চাকরি পাননি বলে দাবি। তাঁদের জবানবন্দিতে আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সামনে আসার আশঙ্কা করছেন তদন্তকারীরা।

Burwan Trinamool MLA in ED custody in recruitment corruption case

আরও পড়ুনঃ জন্মদিনের পার্টিতে বছর কুড়ির তরুণীকে গণধর্ষণ, হরিদেবপুরের ঘটনায় তোলপাড় এলাকা

নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam) মামলায় প্রতিদিনই নতুন নতুন তথ্য উঠে আসছে। ইডি-র অভিযোগে তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার উপর চাপ আরও বাড়ছে। যদিও এখনও পর্যন্ত শাসকদলের তরফে কোনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া মেলেনি। ফলে বড়ঞার এই বিধায়ককে ঘিরে ক্রমশ ঘনীভূত হচ্ছে রহস্য।