বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন তথা সিএএ নিয়ে একসময় ব্যাপক জলঘোলা হয়েছে। বিরোধীদের তরফ থেকে এর প্রবল বিরোধিতার সাক্ষী থেকেছে গোটা দেশ। এই আইনের মাধ্যমে নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়, এমন জল্পনাও শোনা গিয়েছে। তবে এবার এই সিএএ-র সৌজন্যে মুখে হাসি ফুটল ১৮৮ জন উদ্বাস্তুর। শতাধিক উদ্বাস্তুর যাতে নাগরিকত্বের শংসাপত্র তুলে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)।
নাগরিকত্বের শংসাপত্র তুলে দিয়ে কী বললেন শাহ (Amit Shah)?
রবিবার আহমেদাবাদের ১৮৮ জনের হাতে এদেশের নাগরিকত্বের শংসাপত্র তুলে দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এরপরেই ইন্ডিয়া জোটকে আক্রমণ শানান তিনি। বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তানের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওই উদ্বাস্তু ব্যক্তিরা গতকাল থেকে ভারতীয় নাগরিক হয়েছেন। তাঁদের হাতে নাগরিকত্বের শংসাপত্র তুলে শাহ বলেন, ‘সিএএ-তে নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয় না, দেওয়া হয়’।
आज अहमदाबाद में भारत में रह रहे शरणार्थी बहनों-भाइयों को CAA के तहत नागरिकता प्रमाण पत्र प्रदान कर अत्यंत प्रसन्नता हुई।
धार्मिक भेदभाव के कारण जिन्हें अकल्पनीय यातनाओं से गुजरना पड़ा, जिन बहु-बेटियों पर अत्याचार हुआ और जो अपना धर्म व इज्जत बचाने भारत आए, उनकी दशकों पुरानी आशा… pic.twitter.com/41bQr64JAF
— Amit Shah (@AmitShah) August 18, 2024
এদিন সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (CAA) ব্যাখ্যা করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কেবলমাত্র নাগরিকত্ব দেওয়া নয়। উদ্বাস্তুদের অধিকার এবং ন্যায় দেওয়ার আইন হল সিএএ। একসময় যাদের লোকে উদ্বাস্তু বলত, আজ থেকে তাঁরা ভারত মায়ের সন্তান। লক্ষাধিক শরণার্থী যারা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে অন্যায়ের শিকার হয়েছেন, তাঁদের ন্যায় দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী’।
আরও পড়ুনঃ আরজি কর কাণ্ডের পরেও হুঁশ নেই! ফের ডাক্তার-নার্সদের ওপর হামলা, গ্রেফতার তৃণমূল নেতা
এদিন ইন্ডিয়া জোটকেও একহাত নেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, সিএএ লাগু যাতে দেরি হয়, তার জন্য সব ধরণের চেষ্টা করেছিল ইন্ডিয়া জোট। একইসঙ্গে জানান, ২০১৪ সালে কেন্দ্রে সরকার গড়ার পর থেকেই তাঁরা সিএএ নিয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। ২০১৯ সালে তা পাশ হলেও মানুষকে এই নিয়ে ভুল বোঝানো হয়।
শাহের (Amit Shah) কথায়, ‘মুসলিমদের ভুল বোঝানো হয়। তাঁদের বলা হয়, নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হবে। তবে আমি মুসলিম ভাইদের বলতে চাই, এই আইনের মাধ্যমে নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয় না, দেওয়া হয়। আজ যারা নাগরিকত্ব পেলেন তাঁদের সবার মুখের দিকে তাকান। সবার হাসি মুখ’। এরপর শরণার্থীদের আশ্বস্ত করে তিনি বলেন, কারোর উদ্বেগের কোনও কারণ নেই। নিশ্চিত মনে তাঁরা নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারেন।