বেলা ১২টা নাগাদ শুরু! অনুমতি দিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট! বৃহস্পতিতেই বিরাট ‘কাণ্ড’ রাজ্যে!

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ প্রতিবাদ মিছিলে অনুমতি দেয়নি পুলিশ। কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হতেই মিলল অনুমতি। বুধবার বেশ কিছু শর্ত বেঁধে দিয়ে মিছিলের অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত (Justice Jay Sengupta)। অভিযোগ, আলিপুর চিড়িয়াখানার (Alipore Zoo) জমি অবৈধভাবে দখল করে ব্যবসার কাজে ব্যবহৃত হবে। এহেন গুরুতর অভিযোগকে সামনে রেখে প্রতিবাদ মিছিল করতে চায় বিজেপি ‘ঘনিষ্ঠ’ একটি সংগঠন। এবার তাতেই অনুমতি দিয়ে দিল আদালত।

কী কী শর্ত বেঁধে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)?

শহর কলকাতা অন্যতম ‘আকর্ষণ’ হল আলিপুর চিড়িয়াখানা। শীতকাল পড়লেই সেখানে উপচে পড়ে মানুষের ভিড়। অভিযোগ, এই চিড়িয়াখানার বিপরীতে যে পশু হাসপাতাল এবং বড় অ্যাকোয়ারিয়াম রয়েছে, সেগুলি স্থানান্তরিত করা হবে। এরপর সেই জমিতে শুরু হবে প্রোমোটিংয়ের কাজ।

ইতিমধ্যেই এই নিয়ে সমাজের একাংশের তরফ থেকে প্রতিবাদের সুর উঠতে শুরু করেছে। এবার এই একই ইস্যুতে বৃহস্পতিবার পথে নামছে বিজেপি (BJP) ‘ঘনিষ্ঠ’ একটি সংগঠন। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের তরফ থেকে শর্তসাপেক্ষে প্রতিবাদ মিছিলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ পেনশন নিয়ে বড় খবর! ১ জানুয়ারি থেকে বদলে গেল এই নিয়ম! সুবিধা বাড়ল নাকি কমল?

আগামীকালের প্রতিবাদ মিছিলে কত লোক যোগ দিতে পারবেন সেই সংখ্যা বেঁধে দিয়েছে উচ্চ আদালত। বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত এদিন বলেন, ‘বৃহস্পতিবারের কর্মসূচিতে এক হাজারের বেশি লোক যোগ দিতে পারবেন না’। জানা যাচ্ছে, এই কর্মসূচিতে যোগ দিতে পারেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

Calcutta High Court

আলিপুর চিড়িয়াখানার জমি অবৈধভাবে দখল করে ব্যবসার কাজে ব্যবহারের প্রতিবাদে আয়োজিত মিছিল কতক্ষণ চলবে সেই সময়সীমাও বেঁধে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। আদালতের নির্দেশ, আগামীকাল বেলা ১২টা নাগাদ এই কর্মসূচি শুরু করা যাবে। শেষ করতে হবে দুপুর ৩টের মধ্যে। এই প্রতিবাদ মিছিল শুরু হবে রবীন্দ্র সদন মেট্রো স্টেশন থেকে। এরপর পিটিএস মোড় হয়ে চিড়িয়াখানা অবধি যাবে সেই মিছিল।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

সম্পর্কিত খবর