বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। ‘গোপন’ তথ্যের ভিত্তিতে নবান্ন অভিযানের (Nabanna Abhijit) আগের রাতে ছাত্রসমাজের ৪ প্রতিনিধিকে গ্রেফতার করেছিল গোলাবাড়ি থানার পুলিশ। এই নিয়ে মামলাও হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। চার ছাত্র নিখোঁজ হওয়ায় আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যদিও পুলিশ জানায় অভিযোগ ছিল, হাওড়া স্টেশনে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি, গোলমাল করার চেষ্টা চলছে এবং খুনের চেষ্টার ছক করা হচ্ছিল। তাই গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ওই চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। তবে পরদিনই তাদের ছেড়ে দেয় পুলিশ। পুলিশের এহেন আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তুললেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ।
৭ দিনের মধ্যে হলফনামা তলব হাইকোর্টের (Calcutta High Court)
গতকালই এই মামলায় রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই মত মঙ্গলবার রিপোর্ট জমা দেয় রাজ্য সরকার। এদিন মামলাকারী শুভজিৎ ঘোষ, পুলকেশ পণ্ডিত, গৌতম সেনাপতি এবং প্রীতম সরকারের আইনজীবী আদালতে দাবি করেন, বিধি মেনে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। আইনজীবীর বক্তব্য, “ওই চারজনকে কোনও আইন বিধি না মেনে গ্রেফতার করা হয়। আবার ছেড়েও দেয় পুলিশ।”
বিচারপতি নির্দেশ, গ্রেফতারি বিধি মেনে হয়েছিল কি না, তা হলফনামা দিয়ে তথ্য প্রমাণ সহ আদালতে জমা দিতে হবে রাজ্যকে। আগামী সাতদিনের মধ্যে সব পক্ষকে হলফনামা ও তার পাল্টা বক্তব্য জানানোর জন্য এদিন নির্দেশ দিয়েছে আদালত। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ৯ সেপ্টেম্বর।
প্রসঙ্গত, আর জি কর (RG Kar) হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে গত ২৭ অগস্ট নবান্ন অভিযানের (Nabanna Abhijan) ডাক দেয় ‘ছাত্র সমাজ’। তার আগের রাতেই গ্রেফতার করা হয়েছিল এই চার জনকে। প্রসঙ্গত, পুলিশ জানায় ২৬ আগস্ট রাত ৯:৫৫ টা নাগাদ তারা জানতে পারেন যে ওই ৪জন কোনো অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন: হঠাৎ হাউহাউ করে কান্না শুরু সন্দীপের! তারপর? সব বলে দিলেন আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ?
সেই তথ্যের ভিত্তিত্র গত ২৭ অগাস্ট রাত ১২:০৫ নাগাদ গ্রেফতার করা হয় ওই চার যুবককে। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে মামলা উঠলে বিচারপতি রাজর্ষী ভরদ্বাজের প্রশ্ন, “কীসের ভিত্তিতে ওদের গ্রেফতার করল পুলিশ? আর যদি গ্রেফতার করেইছে তাহলে কীসের ভিত্তিতেই বা ছেড়ে দিল?’ ‘যদি এভাবেই চলতে থাকে তাহলে তো পুলিশ যাকে যখন খুশি গ্রেফতার করবে আর ২৪ ঘণ্টা পরে ছেড়ে দেবে!” হাইকোর্টের প্রশ্ন, ‘খুনের চেষ্টার ষড়যন্ত্রেই গ্রেফতার হলে ২৪ ঘন্টায় ছেড়ে দেওয়া হল কেন? এত জঘন্যতম অপরাধের ভিত্তিতে এমন পদক্ষেপ কেন পুলিশের?’ “আইন রক্ষার দায়িত্বে পুলিশ আছে মানেই তারা বেআইনি কাজ করবে এমন হতে পারে না”। এরপরই এই নিয়ে কেস ডায়েরি সহ যাবতীয় নথি তলব করেছিলেন বিচারপতি।
‘বিজেপির মেদ হয়েছে…’ বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দুকে নিয়েও বড় মন্তব্য প্রবীণ নেতার