Ekchokho.com 🇮🇳

মানিকচকের নাবালিকা ধর্ষণে প্রথম সাজা, তৃণমূল নেতার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ঘোষণা করল মালদার আদালত

Published on:

Published on:

TMC leader jailed for rape

বাংলা হান্ট ডেস্ক : ২০২১ সালের জুন মাসে মালদার মানিকচকে এক নাবালিকা ছাত্রীকে ধর্ষণের (Rape Incident) অভিযোগে তীব্র আলোড়ন তৈরি হয়েছিল। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা (Political Violence) থেকেই এই অভিযোগ আনা হয়েছে—এমনও দাবি করেছিল শাসকদল। কিন্তু দীর্ঘ তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়া শেষে এবার আদালতের (Calcutta High Court) রায়ে প্রমাণিত হল ঘটনা সত্যি। সিবিআই তদন্তের (CBI Investigation) ভিত্তিতে প্রথম সাজা ঘোষণা হল ভোট-পরবর্তী সন্ত্রাস সংক্রান্ত এই ধর্ষণ মামলায়।

মানিকচকের ধর্ষণ মামলায় রায় ঘোষণা

সোমবার মালদার পকসো আদালত তৃণমূল কংগ্রেস নেতা রফিকুল ইসলামকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে। ২০২১ সালের ৫ জুন মানিকচকে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। সেই সময় রাজ্যে সদ্য সমাপ্ত হয়েছিল বিধানসভা নির্বাচন। অভিযোগ, ভোটে বিজেপিকে সমর্থন করার ‘শাস্তি’ দিতে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবেই ওই নাবালিকাকে নিশানা করা হয়। মানিকচক ধর্ষণ মামলাও ছিল তারই অন্তর্ভুক্ত। অভিযোগের ভিত্তিতে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) ঘটনার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল। তদন্তে উঠে আসে, অভিযুক্ত রফিকুল ইসলাম স্থানীয় তৃণমূল সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ভুক্তভোগী ও তার পরিবারের বক্তব্য, তাদের বিজেপির সমর্থক হিসেবে চিহ্নিত করে লাগাতার হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। শেষে ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করার চেষ্টা চলে।

আরও পড়ুন : মঞ্চ জুড়ে কালীঘাটের কালীর ছবি! ‘বিবেকানন্দ বলেছেন…’, ব্যাটন হাতে নিয়ে TMC-কে খোঁচা শমীকের

TMC leader jailed for rape

আদালতের রায়ে যাবজ্জীবন, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের জেল

দীর্ঘ শুনানির পর সম্প্রতি বিচারক রফিকুলকে যাবজ্জীবনের নির্দেশ দেন। পাশাপাশি, নির্যাতিতার ক্ষতিপূরণ বাবদ মোটা অঙ্কের জরিমানাও ধার্য করা হয়েছে। সেই টাকা না দিতে পারলে, আরও ছ’মাস কারাবাস করতে হবে বলে জানিয়েছে আদালত। ঘটনায় স্বস্তি পেয়েছে নির্যাতিতার পরিবার। যদিও এখনও তাঁরা সুরক্ষার দাবিতে প্রশাসনের সাহায্য চেয়েছেন।

এই রায়ে ফের একবার রাজনৈতিক চাপে পড়েছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। যদিও দলের তরফে বলা হয়েছে, “আইন আইনের পথে চলবে। যদি কেউ দোষী হয়, তার শাস্তি হওয়া উচিত।” তবে, বিরোধীরা দাবি করছে, এটি প্রমাণ করে তৃণমূলের শাসনেই রাজ্যে নারীদের নিরাপত্তা বিপন্ন।