বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আগামী ১৩ ই নভেম্বর রাজ্যের ৬ বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। আর ভোটের মুখেই সাঁড়াশি চাপে সিতাই কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী সংগীতা রায়। অভিযোগ নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামায় তিনি তথ্য গোপন করেছেন। মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার সময় তিনি নাকি ভুয়ো কাস্ট সার্টিফিকেট জমা দিয়েছেন।
ধাক্কা খেল কলকাতা হাইকোর্টেও (Calcutta High Court)
তাই হলফনামা জমা দিতে গিয়ে জমা দেওয়ার তার বিরুদ্ধে ওঠে তথ্য গোপনের মতো গুরুতর অভিযোগ। বলা হয় তৃণমূল প্রার্থী সঙ্গীতা রায় নির্বাচন কমিশনে যে হলফনামা জমা দিয়েছে সেখানে বেশ কিছু তথ্য গোপন করেছিলেন। মূলত সেখানে তিনি তাঁর যে জাতিগত সার্টিফিকেটের তথ্য জমা দিয়েছেন তা ভুয়ো। কারণ তিনি যে তফসিলি জাতির অন্তর্ভুক্ত নন একথা সেখানে জানাননি।
তাই সিতাই উপনির্বাচনে এই তৃণমূল প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল। সংগীতার মনোনয়ন বাতিলের জন্য নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিল বাম এবং কংগ্রেসও। যদিও বিরোধী শিবিরের সেই অভিযোগে বিশেষ আমল দেয়নি নির্বাচন কমিশন। এবার এই মামলাই ধাক্কা খেল কলকাতা হাইকোর্টেও (Calcutta High Court)।
আরও পড়ুন: নলপুরেই কেন লাইনচ্যুত হয়েছিল ট্রেন? আসল কারণ সামনে আসতেই তোলপাড়
উপনির্বাচনের আগে সংগীতা রায়কে খানিক স্বস্তি দিয়েই এই মামলা খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট। আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায় হাইকোর্টের জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন। সেখানে তিনি আবেদন জানান নির্বাচনী হলফনামায় তথ্য গোপন করেছেন সিতাইয়ে তৃণমূল প্রার্থীর সঙ্গীতা রায়। অভিযোগ এই তৃণমূল প্রার্থী তফশিলি জাতির অন্তর্ভুক্ত না হয়েও ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র জমা করেছেন। তাই তার মনোনয়ন বাতিল করা হোক।
সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি ছিল। যদিও সেখানেই প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, এই বিষয়ে আদালত কোনো হস্তক্ষেপ করবে না। উপনির্বাচনের মুখে এইভাবে মামলা খারিজ হয়ে যাওয়ায় ভোটে দাঁড়াতে আর কোন বাধা থাকলো না সংগীতা রায়ের।