বাংলা হান্ট ডেস্কঃ প্রশ্নের মুখে প্রায় ২০ হাজার ছাত্রছাত্রীর ভবিষ্যৎ! পড়ুয়াদের মুখ চেয়ে অনুমোদনহীন একাধিক বিএড কলেজ কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছিল। এবার সেই অনুমোদনহীন বিএড কলেজগুলিতে অনুমোদন দেওয়ার নির্দেশ দিল আদালত। সব কাগজপত্র ঠিক থাকলে আগামী ১০ দিনের মধ্যে কলেজগুলিকে শর্তসাপেক্ষে অনুমোদন প্রদানের নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।
মেয়েকে বিএড কলেজে (B.Ed College) ভর্তি করাতে গিয়ে অনিয়মের কথা জানতে পারেন এক ব্যক্তি। তাঁর অভিযোগ, যেখানে বিএড কলেজটি থাকার কথা সেখানে তা ছিল না। পরে খোঁজখবর করার পর উঠে আসে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য! একইরকম আরও ৬টি কলেজের কথা জানতে পারেন তিনি। আদালতের দ্বারস্থ হন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি। এরপর এই মামলায় বাবা সাহেব আম্বেদকর বিশ্ববিদ্যালয়কে অনুমোদনহীন বিএড কলেজগুলির (College) নাম বিজ্ঞাপন আকারে প্রকাশের নির্দেশ দেয় আদালত।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অনুমোদনহীন বিএড কলেজের পাশাপাশি অনুমোদনপ্রাপ্ত বিএড কলেজের তালিকা প্রকাশেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। আদালতের নির্দেশ ছিল, সর্বাধিক প্রচারিত একটি বাংলা এবং একটি ইংরেজি সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন প্রকাশ করতে হবে। সেই অনুযায়ী বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। তখন সামনে আসে ৯৬টি অনুমোদনহীন বিএড কলেজ রয়েছে। যে কারণে রাতারাতি প্রায় ২০ হাজারেরও অধিক ছাত্রছাত্রীর ভবিষ্যৎ প্রশ্নের মুখে এসে দাঁড়ায়।
আরও পড়ুনঃ চোর আর শিক্ষক কখনও একসঙ্গে এক ফ্রেমে তর্ক করতে পারে না! অভিষেকের চ্যালেঞ্জের পাল্টা সুকান্ত
এই আবহে সংশ্লিষ্ট তালিকায় নাম থাকা বেশ কয়েকটি কলেজ হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়। মঙ্গলবার এই সম্বন্ধিত মামলাতেই কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ অনুমোদনহীন বিএড কলেজগুলিকে শর্তসাপেক্ষে অনুমোদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। তবে সেক্ষেত্রে নথিপত্র ঠিক থাকতে হবে। কাগজপত্র যদি ঠিক থাকে তাহলে আগামী ১০ দিনের মধ্যে শর্তসাপেক্ষে অনুমোদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
পাশাপাশি কোনও দরকারি নথিপত্র যদি না থাকে তাহলে সেগুলি জমা করার জন্যেও নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে কাগজপত্র জমা করলে অনুমোদনহীন বিএড কলেজগুলি পাকাপাকি অনুমোদন পাবে। এদিকে অনুমোদনহীন কলেজগুলির দাবি ছিল, সকল দরকারি নথি থাকলেও তাঁদের অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে ন। যে কারণে আটকে আছে চলতি শিক্ষাবর্ষে ভর্তি প্রক্রিয়া। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনজীবী পাল্টা দাবি করেন, বহু কলেজের ফায়ার লাইসেন্স নেই। দুই পক্ষের কথা শোনার পরেই নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। আদালতের এই নির্দেশের ফলে ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে তৈরি হওয়া ধোঁয়াশা অনেকটা কাটবে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।