বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বুধবার থেকে রাজ্যে শুরু হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া। প্রায় ১৩ হাজার ৪২১টি শূন্যপদে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ করা হবে বলে জানানো হয়েছে। অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করার নোটিস জারি করা হয় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে। বুধবার থেকে অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে TET উত্তীর্ণ যোগ্য প্রার্থীরা সরকার অনুমোদিত, সরকার পৃষ্ঠপোষকতা-প্রাপ্ত প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং জুনিয়র বেসিক বিদ্যালয়গুলিতে সহকারী শিক্ষক পদে চাকরির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আর সেই নোটিস প্রকাশের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই নিয়োগ নিয়ে আইনি জটিলতার ইঙ্গিত মিলল। জানা গিয়েছে, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে একটি মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta High Court)।
কী নিয়ে মামলা?
সুত্রের খবর। শূন্য পদের সংখ্যা নিয়ে খুব তৈরি হয়েছে চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে। তাদের দাবি তদিন পরে নিয়োগ হচ্ছে অথচ মাত্র ১৩ হাজার ৪২১টি শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগ করা হচ্ছে। এই নিয়েই ক্ষোভ তৈরি হয়েছে চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে। এই মামলার অন্যতম মুখ বিদেশ গাজী প্রশ্ন তুলেছেন, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে ১৩ হাজার ৪২১টি ভ্যাকেন্সি সহ পূর্ণাঙ্গ নোটিফিকেশন কেন? এই প্রসঙ্গে ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, প্রাথমিক স্তরে ১৩ হাজার ৪২১টি শূন্য পদের নিয়োগের এই প্রক্রিয়া রাজ্য সরকারের স্কুল শিক্ষা দপ্তরের অনুমোদন প্রাপ্ত। তবে চলতি বছরে প্রায় পঞ্চাশ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে মামলাটি উঠতে পারে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের মামলা (Calcutta High Court)
বৃহস্পতিবারই এই মামলা শুনানির জন্য তালিকাভুক্ত হতে পারে বলে খবর আদালত (Calcutta High Court) সূত্রে। বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে মামলাটি উঠতে পারে বলে জানা গিয়েছে। নোটিসের ঠিক পরদিনই নিয়োগের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হওয়ায় শিক্ষামহলে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। বুধবার যে নোটিসে অনলাইনে আবেদন শুরু করার কথা জানানো হয়েছিল, তা নিয়ে বহু পরীক্ষার্থীই প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। কিন্তু নিয়োগপ্রক্রিয়া আইনি জটিলতায় জড়িয়ে পড়তে পারে, এই খবর সামনে আসতেই নতুন উদ্বেগ দেখা দিয়েছে চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে।

আরও পড়ুনঃ রাজ্যপালের আর ‘অন্তহীন অপেক্ষা’ নয়! বিল সিদ্ধান্তে কী বলল সুপ্রিম কোর্ট?
এখন নজর বৃহস্পতিবারের দিকে। বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে মামলার শুনানি হলে আদালত (Calcutta High Court) কী নির্দেশ দেন, তার ওপরই আগামী দিনের নিয়োগ প্রক্রিয়ার ভবিষ্যৎ অনেকটাই নির্ভর করবে।












