বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে লিলুয়ার অবৈধ আবাসন ভাঙা শুরু হতেই চিৎকার, আতঙ্ক! যা ঘটল…

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত বৃহস্পতিবার হাওড়ার (Howrah) বালি পুরসভার অন্তর্গত বেআইনি নির্মাণ ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। বৃহস্পতিবার অবৈধ নির্মাণ মামলায় বিচারপতি নির্দেশ দিয়ে বলেছিলেন, আগামী ছ’দিনের মধ্যে ওই নির্মাণ সম্পূর্ণ ভেঙে ফেলতে হবে। শুক্রবার সকাল ১১টায় ভাঙার কাজ শুরু করতে হবে বলেও সাফ নির্দেশ দেন বিচারপতি।

শুরু হয়েছে নির্মাণ ভাঙার কাজ

আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী শুক্রবার বালি পুরসভার কর্মীরা লিলুয়া থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে ওই বেআইনি নির্মাণ ভাঙতেও হাজির হয়। কিন্তু পুলিশ প্রশাসনের কাছে আদালতের লিখিত নির্দেশিকা না থাকায় আবাসনের বাসিন্দারা ওই নির্মাণ ভাঙার কাজ করতে দেননি। গতকাল শনিবার এক ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ওই অবৈধ নির্মাণের অংশ ভাঙার কাজ শুরু হয়েছে।

   

তবে সেখানে আরেক বিপত্তি

অবৈধ বহুতলের বেআইনি অংশ ভাঙার সময় পাশের একটি একশো বছরের পুরোনো বাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে অভিযোগ তোলা হয়। অভিযোগ তুলে সরব হন ওই বাড়ির বাসিন্দারা।

ঠিক কী অভিযোগ?

প্রায় একশো বছরের পুরোনো বাড়ি এক বাসিন্দার অভিযোগ, ”বালি পুরসভা কোনওরকম সুরক্ষা ছাড়াই পাশের অবৈধ নির্মাণ ভাঙার কাজ শুরু করেছে। সেই সময় দেখা যায় আমাদের একশো বছরের পুরোনো তিন তলা বাড়ির বিভিন্ন জায়গা থেকে চাঙর খসে পড়তে থাকে। গোটা বাড়ি কাঁপতে শুরু করে।”

আরও পড়ুন: ‘আগামী ১১ ডিসেম্বর…’, তারিখ জানিয়ে দিলেন শুভেন্দু, কী ঘটাতে চলেছেন? তোলপাড় রাজ্য

high court

ওই মহিলা বাসিন্দা আরও জানান, ” এই ঘটনায় আমরা সকলেই আতঙ্কে রয়েছি। যে কোনও সময় বাড়িটা ভেঙে পড়তে পারে। তিন তলা এই বাড়িতে ৭ টি পরিবার ৫জন শিশু -সহ ২৪ জন সদস্য নিয়ে বসবাস করেন। সকলে আতঙ্কে রয়েছে। প্রশাসনকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে। ” যদিও ঘটনাস্থলে থাকা ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, “প্রশাসনের তরফে উপযুক্ত সুরক্ষা পদক্ষেপ নিয়েই আবাসনের বেআইনি অংশ ভাঙা হচ্ছে। দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা নেই। বাসিন্দাদের আতঙ্কিত হওয়ারও কোনও কারণ নেই।”

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর