বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিগত কিছু সময়ে অযোগ্য নিয়োগ নিয়ে বারংবার প্রশ্নের মুখে পড়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)। গত সপ্তাহেই নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে এক ধাক্কায় বাতিল হয়েছে এসএসসি ২০১৬ সালের ২৫৭৫৩ জনের নিয়োগ। সেই নিয়ে উত্তাল রাজ্য। এরই মাঝে ফের অযোগ্যকে চাকরি দিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) তোপের মুখে এসএসসি (SSC)।
যোগ্য প্রার্থীকে বঞ্চিত রেখে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে অযোগ্য প্রার্থীকে! এবারেও সেই একই অভিযোগ সামনে। মামলাকারী তারিফ আলির অভিযোগ এসএসসির মেধা তালিকায় স্থানও পেলেও নিয়োগপত্র পাননি তিনি। উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতের বাসিন্দা তারিফ ২০১২ সালে রিজিওনাল লেভেল সিলেকশন টেস্ট (আরএলএসটি) দিয়েছিলেন। এরপর মেধা তালিকায় নামও উঠেছিল, তবে নিয়োগ মেলেনি।
এদিন আদালতে মামলাকারীর আইনজীবী জানান, ভূগোল বিষয়ে আরএলএসটি পরীক্ষায় বসেছিলেন তার মক্কেল। পরীক্ষায় পাশ করে মেধা তালিকায় নামও উঠেছিল। তবে এরপরও তাকে নিয়োগপত্র দেয়নি SSC। পরে নিজের প্রাপ্ত নম্বর জানতে চেয়ে RTI করেন মামলাকারী। এসএসসি জানায়, পরীক্ষায় তার প্রাপ্ত নম্বর ৫২। তবে সেখানে একাডেমিক স্কোরের জন্য নির্ধারিত নম্বরের চেয়ে তাকে ২ নম্বর কম দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তারিফের দাবি, সঠিক মূল্যায়ন হলে তার প্রাপ্ত নম্বর ৫২ নয়, হত ৫৪।
এরপরই এসএসসির কাছে সমস্ত নথি-সহ লিখিত অভিযোগে ওই প্রার্থী জানান, একই মেধা তালিকায় ৫২.৩৩ নম্বর পেয়েও চাকরি করছেন প্রার্থী। অথচ তার প্রাপ্ত নম্বর ৫৪ হওয়া সত্ত্বেও তাকে নিয়োগ পাওয়া থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। তারিফের এই অভিযোগের কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি কমিশন।
এদিন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে মামলা উঠলে অভিযোগ শুনে ক্ষোভপ্রকাশ করেন বিচারপতি। বলেন, ‘‘এটা এসএসসির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ। একাডেমিকসে নম্বর কি ভাবে কমে যায়? এক জন যোগ্য প্রার্থীকে বঞ্চিত করে কেন অযোগ্যকে নিয়োগ?’’
আরও পড়ুন: ৯৫ লক্ষ টাকার ফ্ল্যাট, ১২ লক্ষের আইনের বই! মোট কত সম্পত্তির মালিক অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়?
পাল্টা এসএসসির আইনজীবী জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য সময় প্রয়োজন। বিচারপতি বসুর নির্দেশ, মামলাকারীর অভিযোগ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে স্কুলে সার্ভিস কমিশনকে হলফনামা জমা দিতে হবে। জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহে মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে।