বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আদালতের নির্দেশ কি ছেলেখেলা করার জিনিস? মোবাইল চুরির একটি মামলায় কলকাতা পুলিশ কমিশনারের ভূমিকায় বেজায় ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি। আদালতের ক্ষমতা স্মরণ করানোর পাশাপাশি আদালত অবমাননার কথাও শোনা গিয়েছিল তাঁর মুখে। এরপর বিচারপতি রাজশেখর মান্থা (Justice Rajsekhar Mantha) পুলিশ কমিশনারকে ভার্চুয়ালি উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশ মতো শুক্রবার আদালতে হাজিরা দেন তিনি।
২০২২ সালের জুন মাসে মোবাইল চুরির একটি মামলায় কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন পঙ্কজ কুমার দুগার নামের এক ব্যক্তি। এই মামলায় পুলিশ কমিশনারকে (Kolkata Police Commissioner) আলিপুর পুলিশ স্টেশন থেকে হাজরা ক্রসিং এবং কালীঘাট ফায়ার স্টেশন অবধি সিসিটিভি ফুটেজ আদালতে জমা করার নির্দেশ দেন বিচারপতি। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট মোবাইল সংস্থা থেকে তথ্য জোগাড়ের নির্দেশও দেওয়া হয়। তবে সেই নির্দেশ মানা হয়নি বলে অভিযোগ।
আদালতের তরফ থেকে পুলিশ কমিশনারকে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলেও সেই রিপোর্ট জমা দেন কালীঘাট থানার ওসি। আদালতের নির্দেশের এভাবে অমান্য করা হয়েছে দেখে বেজায় ক্ষুব্ধ হয় জাস্টিস মান্থা। আদালত অবমাননার জন্য কেন তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় পদক্ষেপের নির্দেশ দেওয়া হবে না, পুলিশ কমিশনারের থেকে জানতে চান তিনি।
আরও পড়ুনঃ মেদিনীপুর হাতছাড়া দিলীপের? অধিকারী গড়ে প্রার্থী বদল? চমকে ভরা BJP-র সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা
এরপর আদালতের ক্ষমতা স্মরণ করিয়ে বিচারপতি মান্থা বলেন, ‘আদালতের নির্দেশ কি ছেলেখেলার জিনিস? হাই কোর্টের নির্দেশ না মানলেও হবে বলে মনে করছে পুলিশ? আদালতের নির্দেশ নিয়ে মকারি হচ্ছে। ভুলে যাবেন না হাই কোর্টের কী ক্ষমতা আছে’। তীব্র ভর্ৎসনার পর মামলার পরবর্তী শুনানির দিন পুলিশ কমিশনারকে ভার্চুয়ালি হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়।
সেই নির্দেশ মতো গতকাল আদালতে হাজিরা দেন পুলিশ কমিশনার। জানা যাচ্ছে, তাঁর হাজিরায় সন্তুষ্ট হয়েছে হাই কোর্ট। কমিশনারের উদ্দেশে জাস্টিস মান্থা বলেন, ‘আপনি অনেক ভালো একজন অফিসার। আপনার অনেক দায়িত্ব। সেই দায়িত্বগুলি সৎভাবে পালন করুন’। কালীঘাট থানার পুলিশ আগেই যদি আদালতের নির্দেশ মানতো তাহলে পুলিশ কমিশনারকে হাজিরা দিতে হতো না, মনে করছে আদালত। তবে পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন, আদালতের নির্দেশ ইতিমধ্যেই পালন করা হয়েছে।