বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি কর কাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন আসফাকুল্লা নাইয়া (Asfakulla Naiya)। সম্প্রতি তাঁর ডিগ্রি নিয়ে দেখা দেয় বিতর্ক। সেই জল গড়ায় কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) অবধি। এবার সেই মামলাতেই উচ্চ আদালতের তোপের মুখে পড়ল রাজ্য। ‘তদন্ত শুরু করলেন কীভাবে? প্রশ্ন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের।
আসফাকুল্লার মামলায় বড় পর্যবেক্ষণ বিচারপতির (Calcutta High Court)!
সোমবার জাস্টিস ঘোষের (Justice Tirthankar Ghosh) এজলাসে এই মামলার শুনানি ছিল। সেই সময় বিচারপতি বলেন, ‘তিনি এমবিবিএস হিসেবে প্র্যাকটিস করতে পারেন’। পাশাপাশি এও বলেন, মামলাকারী ব্যক্তি রোগী নন। যেই মাত্র উনি থানায় গেলেন আপনারা সঙ্গে সঙ্গে কেস শুরু করে দিলেন? অনেক সময় তো জিডি করে ফেলে রেখে দেন।
বিচারপতি ঘোষ এদিন স্পষ্ট বলেন, তদন্ত প্রক্রিয়ায় তিনি হতাশ। তাঁর কথায়, ‘তদন্ত যেভাবে হয়েছে আমি তাতে হতাশ। কারণ এফআইআর নূন্যতম তথ্যসামগ্রীর প্রয়োজন’। আসফাকুল্লার ক্ষেত্রে যে পদ্ধতিতে এফআইআর হয়েছে তা নিয়ে রাজ্যকে একহাত নেন জাস্টিস ঘোষ। অভিযুক্ত জুনিয়র চিকিৎসক এমবিবিএসের পরিবর্তে নিজেকে এম এস ইএনটি হিসেবে তুলে ধরেছেন, এই রকম প্রমাণ কোথায়? প্রেসক্রিপশন ছাড়া এই মামলা কীভাবে রুজু করলেন? জানতে চান বিচারপতি। এই মামলায় কেস ডায়েরি তলব করেছে হাইকোর্ট (Calcutta High Court)।
আরও পড়ুনঃ কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ নওশাদ সিদ্দিকী! হঠাৎ কী হল? জোর শোরগোল
এদিন আসফাকুল্লার আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য বলেন, ‘একজন ব্যক্তি আসফাকুল্লার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন, প্রশিক্ষণ নেওয়া অবস্থায় কীভাবে বেসরকারি চিকিৎসা চালাচ্ছেন।’ রাজ্যের আইনজীবী শীর্ষণ্য বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আসফাকুল্লা আরজি কর আন্দোলনের প্রতিবাদী মুখ ছিলেন। তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। তবে তাঁর বিরুদ্ধে ভুল চিকিৎসা হয়েছে এমনটা কেউ বলেনি।
একইসঙ্গে বলেন, ‘অতিরিক্ত যোগ্যতা সম্বন্ধে কোনও তথ্য নেই। এমএস ইএনটি হিসেবে পরিচয় দেন? বেসরকারি হাসপাতালে রোগী দেখতেন’। একথা শোনার পরেই বিচারপতি ঘোষ জিজ্ঞেস করেন, ‘সিজার লিস্ট কিছু রয়েছে? সেখানে দেখতে হবে উনি এই যোগ্যতা দিয়ে রোগী দেখছেন। প্রেসক্রিপশন কোথায়? কীভাবে তদন্ত শুরু করলেন? যেখানে কোনও রোগী তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেনি। মামলাকারী ব্যক্তি রোগী নন। যেই থানায় গেলেন আপনারা সঙ্গে সঙ্গে কেস শুরু করে দিলেন?’
জানা যাচ্ছে, আসফাকুল্লার মামলায় হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, এটি ‘হেজি এফআইআর’। এই মামলায় কেস ডায়েরি তলব করেছে উচ্চ আদালত। আগামী বুধবার ফের এই মামলার শুনানি রয়েছে।