বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ডিএ (DA) ইস্যুতে তোলপাড় বাংলা। কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতার দাবিতে বিগত ৭০ দিন ধরে আন্দোলনরত রাজ্যের সরকারি কর্মীদের একাংশ। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উঠে আসছে প্রতিবাদের চিত্র। ন্যায্য বিচারের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হয়েছেন মামলাকারীরা। তবে শীর্ষ আদালতে বারবার পিছিয়ে যাচ্ছে ডিএ মামলার শুনানি। তবে এরই মধ্যে এবার ডিএ নিয়ে বড় নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court)।
বৃহস্পতিবার হাই কোর্ট ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, ডিএ নিয়ে সরকারি কর্মীদের সঙ্গে রাজ্য সরকারকে বৈঠকে বসতে হবে। চলতি মাসের ১৭ তারিখ রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং অর্থসচিবের উপস্থিতিতে সরকারি কর্মচারী সংগঠনের তিনজন সদস্য মহার্ঘ ভাতা নিয়ে আলোচনায় বসবেন।
শুধু তাই নয়, সরকার ও সরকারি কর্মীদের সেই আলোচনায় যাতে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, সে দিকে নজর রাখার নির্দেশও ডিভিশন বেঞ্চ। প্রসঙ্গত, বহুদিন থেকেই নিজেদের ডিএ সংক্রান্ত দাবি নিয়ে সরব রাজ্য সরকারি কর্মীরা। এ বছর বাংলার বাজেট পেশের সময় সরকারি কর্মীদের ডিএ ৩ বাড়িয়ে ৬ শতাংশ করা হয়েছে। তবে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ডিএ বেড়ে হয়েছে ৪২ শতাংশ। বিশাল এই ফারাক নিয়েই অভিযোগ এ রাজ্যের সরকারি কর্মীদের।
রাজ্য সরকারি কর্মীদের দাবি তারা নিজেদের পাওনা থেকে বঞ্চিত। এই অভিযোগ নিয়েই আগামী ১০ ও ১১ এপ্রিল দিল্লিতে গিয়ে ধরনায় বসবেন যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের আন্দোলনকারীরা। জানা গিয়েছে, মোট ৫০০ ডিএ আন্দোলনকারী রাজধানী যাচ্ছেন। দুই দফায় দিল্লি গিয়ে পৌঁছবেন তারা।
জানা গিয়েছে কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-র দাবিতে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এবং শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের কাছে ডেপুটেশন দেবেন আন্দোলনকারীরা। পাশাপাশি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গেও দেখা করার কথা তাদের। ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রপতির অফিস তাদের জন্য সময় বরাদ্দ করা হয়েছে বলেও দাবি তাদের। অন্যদিকে, উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ও সময় দিয়েছেন তাদের। জানিয়ে রাখি, আগামী ১১ এপ্রিল সেই মামলার শুনানি হওয়ার কথা সুপ্রিম কোর্টে। তবে এরই মধ্যে সরকার-সরকারি কর্মীদের বৈঠকে বসার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।