বাংলা হান্ট ডেস্কঃ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) মেয়ের বিরুদ্ধে কুরুচিকর মন্তব্য সংক্রান্ত একটি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রশ্নের মুখে রাজ্য সরকার (West Bengal Government)। একটা মামলায় কিভাবে জেলার একাধিক থানায় এফআইআর দায়ের ! এও সম্ভব? প্রশ্ন তুললেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ।
মঙ্গলবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মেয়ের বিরুদ্ধে কুরুচিকর মন্তব্য সংক্রান্ত মামলায় দুই বিজেপি মহিলা কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷ কুরুচিকর মন্তব্য না, শুধুমাত্র হাততালি দেওয়ার অপরাধেই বিভিন্ন থানায় এফআইআর করা হয়েছে, এমনকি জেল হেফাজতে নির্যাতন করা হয়েছে ওই দুই মহিলাকে। এমনটাই দাবি, অভিযুক্তদের আইনজীবীর। ওই দু’জনের মুক্তির আবেদন মামলায় হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়েন রাজ্যের আইনজীবি৷
আদালতে মামলা উঠলে অভিযুক্তদের অন্তর্বর্তীকালীন মুক্তির আর্জি জানিয়ে আইনজীবীর দাবি, ‘‘আবেদনকারীদের পুলিশ হেফাজতে নিয়ে শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে। জেল হেফাজতে মেডিক্যাল চেক আপের সময় তারা নির্যাতনের কথা বলেন। শুধুমাত্র মন্তব্যের প্রতিবাদের জন্য ও হাততালি দেওয়ার জন্য ২৬ দিনের জেল! একই মামলায় রাজ্যের বিভিন্ন থানায় একাধিক এফআইআর করা হয়েছে। ’’
পাল্টা সরকারের আইনজীবী বলেন, ‘‘মামলাকারীরা ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্যাতনের বিষয়ে জানাতে পারতেন। ম্যাজিস্ট্রেট তো পুলিশের দ্বারা প্রভাবিত নন। একজন রাজনৈতিক নেতার নাবালক সন্তানের বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য। লজ্জাজনক সত্য। এরপর যারা হাততালি দিচ্ছিলেন, উল্লাস করছিলেন.. ! কোনও সুশীল সমাজে এটা বলা যায় কি? যিনি মন্তব্য করেছেন তিনি পুলিশি হেফাজতেই। তবে যারা এহেন অবমাননাকর মন্তব্য সমর্থন করছিলেন তাদের আদালত প্রশ্রয় দিতে পারে না।’’
আরও পড়ুন: কথা ছিল না, হঠাৎ ঘোষণা! পুজোর আগেই DA বাড়ল রাজ্য সরকারি কর্মীদের, খুশিতে আত্মহারা সকলে
রাজ্যের আইনজীবীকে বিচারপতির প্রশ্ন, ‘‘একটা হল মামলা। সেই এক মামলায় সব থানার গ্রেফতারের অধিকার আছে কি?” এরপরই নিম্ন আদালতের মামলার তথ্য-সহ রাজ্যকে রিপোর্ট দাখিল এবং জেল সুপারিনটেনডেন্টের মেডিক্যাল রিপোর্ট যুক্ত করে রাজ্যকে আগামী ৩ অক্টোবরের মধ্যে হলফনামা আকারে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। আজ বৃহস্পতিবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
Made in India