বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ঠাকুরনগরের মতুয়া মহাসঙ্ঘের মেলা ঘিরে প্রত্যেক বছরই থাকে বিরাট জাঁকজমক। এবার এই মতুয়া মহাসঙ্ঘের মেলা আয়োজনের অনুমতি পাওয়ার জন্য শুরু হয়েছে বিস্তার জলঘোলা। ইতিমধ্যেই সেই মামলা গড়িয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। এবার এই মেলা আয়োজনের অনুমতির প্রসঙ্গে বিরাট নির্দেশ দিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট ।
মতুয়া উৎসব ঘিরে বিরাট নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)
বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অমৃতা সিনহা নির্দেশ দিয়েছেন দু’পক্ষের আবেদন বিবেচনা করে মেলা করার অনুমতি দেওয়া বা বাতিল করার প্রসঙ্গে সিদ্ধান্ত নিতে হবে জেলা পরিষদকে। উত্তর ২৪ পরগনার জেলা পরিষদের অতিরিক্ত কার্যনির্বাহী আধিকারিককে সময় বেঁধে দিয়ে জানানো হয়েছে, আগামী ১৯ মার্চের মধ্যে ওই সিদ্ধান্ত জানাতে হবে।
জাস্টিস সিনহা এদিন নির্দেশ দিয়েছেন দু’পক্ষের আবেদন বিবেচনা করে মেলা করার অনুমতি দেওয়া বা বাতিল করার প্রসঙ্গে সিদ্ধান্ত নিতে হবে জেলা পরিষদকে। জানা যাচ্ছে, ৬ দশক আগে যে আইন বাতিল হয়ে গিয়েছে সেই আইন দেখিয়ে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরের অনুগামী, মতুয়াদের অনুষ্ঠান করার অনুমতি দিয়ে দিয়েছিল জেলা পরিষদ। বিষয়টি নিয়ে আদালতের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হতেই এবার সেই অনুমতি বাতিল হল। বিচারপতি সিনহা এদিন আরও একবার নতুন করে আবেদন করার নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: একি কাণ্ড! তারাপীঠ মহাশ্মশানে যা হচ্ছে…! এবার মামলা গেল হাইকোর্টের চিফ জাস্টিসের বেঞ্চে
প্রসঙ্গত প্রায় ৬২ বছর আগে বাতিল হয়ে গিয়েছিল জেলা পরিষদ আইন। তারপরেও সেই আইনকে হাতিয়ার করে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের তরফ থেকে ঠাকুরনগরের মতুয়া উৎসব করার অনুমতি দিয়ে দিয়েছিল মমতাবালা ঠাকুরের অনুগামীদের। প্রসঙ্গত ওই একই অনুষ্ঠান আয়োজন করার অনুমতি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর।
বৃহস্পতিবার ওই মামলায় সমস্ত নথি খতিয়ে দেখার পর বিচারপতি সিনহার পর্যবেক্ষণ ছিল ১৯৭৩ সালে রাজ্যে পঞ্চায়েত আইন চালু হওয়ার পর ১৯৬৩ সালের জেলা পরিষদ আইন বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে। তারপরেও বাতিল হয়ে যাওয়া সেই আইনকে হাতিয়ার করেই একপক্ষকে মেলা আয়োজন করার অনুমতি দিয়ে দিয়েছিল জেলা পরিষদ। এবার সেই অনুমতি বাতিল করে দিয়েছে হাই কোর্ট। এছাড়া উভয়পক্ষকেই নতুন করে আবেদন করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। আগামী ১৯ মার্চের মধ্যে সেই আবেদন বিবেচনা করে নতুন করে অনুমতি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলা পরিষদকে।