বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি কর, জয়নগর কাণ্ডের রেশ কাটতে না কাটতেই মুর্শিদাবাদে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ। পুজোর আবহে ১০ বছরের শিশুকন্যাকে ধর্ষণ খুনের অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যেই এই জল গড়িয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) অবধি। এবার এই মামলায় বড় নির্দেশ দিলেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ।
মুর্শিদাবাদ ধর্ষণ হত্যাকাণ্ডে কী নির্দেশ দিল হাইকোর্ট (Calcutta High Court)?
জানা যাচ্ছে, দুর্গাপুজো উপলক্ষ্যে দিল্লি থেকে দাদুর বাড়ি এসেছিল ওই শিশুকন্যা। রবিবার দুপুরে অভিযুক্তের বাড়ি থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় উদ্ধার হয় তাঁর দেহ। পুলিশ (Police) ইতিমধ্যেই ৪০ বছর বয়সি অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। গণধোলাই থেকে উদ্ধার করে তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে।
এদিকে আবার মৃতার ময়নাতদন্ত নিয়ে দেখা দিয়েছে জটিলতা। সোমবার মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে নির্যাতিতার ময়নাতদন্ত হওয়ার কথা ছিল। তবে মৃতার পরিবারের তরফ থেকে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে পোস্টমর্টেমের দাবি করা হয়েছিল। অভিযোগ, পুলিশের তরফ থেকে সবটা মেনে নেওয়া হলেও পরবর্তীতে দেখা যায়, মেডিক্যাল কলেজে এমন কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি। ফলে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয় পরিবার।
আরও পড়ুনঃ জমায়েত নিষিদ্ধ! দ্রোহ কার্নিভাল ঘিরে অশান্তির আশঙ্কা! বিরাট পদক্ষেপ কলকাতা পুলিশের
নির্যাতিতার মা বলেন, ‘রবিবার থেকে আমরা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ময়নাতদন্তের দাবি জানাচ্ছি। সেই ময়নাতদন্তের ভিডিও রেকর্ডিংয়েরও দাবি জানিয়েছি। একইসঙ্গে ময়নাতদন্তের সময় আমাদের মধ্যে একজনকে থাকতে দেওয়ার দাবি করেছিলাম। পুলিশের তরফ থেকে আমাদের একই কথা দেওয়া হয়েছিল। তবে আজ (সোমবার) মেডিক্যাল কলেজে এমন কোনও বন্দোবস্ত হয়নি দেখে আমরা অবাক হয়ে যাই। মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে পরিষ্কার করে কিছু বলতে চায়নি। শেষমেষ আমরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হই’।
জানা যাচ্ছে, এই পরিস্থিতিতে সিপিএমের যুব শাখার তরফ থেকে নির্যাতিতার পরিবারের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া হয়। ইমেলের মাধ্যমে হাইকোর্টে পিটিশন দাখিল করা হয়। এই মামলাতেই বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ (Justice Tirthankar Ghosh) বলেন, ‘এটা খুবই জরুরি। নির্যাতিতার পরিবার অনেক বড় কিছু চায়নি… শুধুমাত্র একজন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতি চেয়েছে’।
হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশ, মঙ্গলবার একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মৃতার ময়নাতদন্ত করতে হবে। এই মর্মে মুর্শিদাবাদ জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত। এই প্রসঙ্গে ফারাক্কা সাব-ডিভিশনাল পুলিশ অফিসার আমিনুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমরা কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মতো ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করব। আমাদের তরফ থেকে কোনও ত্রুটি ছিল না’।